দীর্ঘদিন মামলা চলার পর চুঁচুড়ার বিশেষ আদালতের রায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক দম্পতি। ঘটনাটি ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বরের। সেদিন তৎকালীন সাংসদ অপরূপা পোদ্দার শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগ, তাঁর কাছে খবর ছিল নাসিম আখতার ও আনসারি খাতুনের বাড়িতে অনৈতিক কাজকর্ম অর্থাৎ সেক্স র্যাকেট চলছিল। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিনি তাঁর স্বামী সাকির আলিকে সঙ্গে নিয়ে অভিযুক্তদের বাড়িতে যান। তবে সেখানে পৌঁছানোর পর তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন শিক্ষক দম্পতি। প্রাক্তন সাংসদ জানান, তাঁর জাত নিয়ে কুরুচিকর ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছিল। এমনকি, তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এই মামলার শুনানি চলে চুঁচুড়া আদালতের জেলা দায়রা বিচারক সঞ্জয় কুমার শর্মার কোর্টে। বিচারক দু’টি ধারায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ (শ্লীলতাহানির চেষ্টা) ও ৫০৬ (হুমকি) ধারায় অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস দেন। তবে,অন্য একটি বিশেষ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ওই ধারায় সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। আদালত থেকে বেরিয়ে শিক্ষক দম্পতি জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে এই মামলা করা হয়েছে। নাসিম আখতার দাবি করেন, তৎকালীন সাংসদের স্বামী সাকির আলি তাঁদের থেকে টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা তাঁরা ফেরত চেয়েছিলেন। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এরপরই তাঁদের ফাঁসাতে এই মামলা করা হয় বলে দাবি দম্পতির। তাঁরা জানিয়েছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন।
অভিযুক্তদের আইনজীবী জানান, ঘটনার দিন অভিযুক্তরা শ্রীরামপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। আদালতে তাঁরা প্রমাণ দিয়েছেন। তাছাড়াও, বাড়িতে কোনও বেআইনি কাজ চলছিল না। এমনকী সেক্স র্যাকেটের অভিযোগ আদালত খারিজ করে দিয়েছে। কিন্তু বিচারকের রায়ে তাঁরা হতাশ। এই রায় প্রত্যাশিত ছিল না বলেই তাঁরা জানান।