ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে ‘সন্ত্রাস চালিয়েছে পুলিশ’! এই অভিযোগে রাজ্য জুড়ে এবার বুধবার ১২ ঘণ্টা বনধ ডাকল বিজেপি। এরই প্রেক্ষিতে রেল কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ারির বার্তা দিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, ‘রেল কর্তৃপক্ষকে বলছি, কালকে কিন্তু রেল বন্ধ করবেন না।’ বললেন, ‘এই বনধ প্ররোচনামূলক, অভিসন্ধি রয়েছে এর পিছনে। বাংলার মানুষ এই বনধকে সফল হতে দেবেন না। বনধ হচ্ছে না, হবে না।’
এদিকে শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান হল। সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সাঁতরাগাছি, বড়বাজার। পুলিশের উসকানি ছিল, তারা প্রচুর মানুষকে মারধর করেছেন। বিরোধী দলনেতার মতে, ‘ছাত্রসমাজ থেকে বলেছিল, বাধা দিলে প্রতিরোধ হবে। কিন্তু আমরা সংযত থাকব। তাঁরা সেকাজটা করেছেন।’ কিন্তু এর পরেও বনধ ডাকল সেই বিজেপি-ই।
বিজেপির ডাকা বনধে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা বলেন, ‘অনেক প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল একটা অরাজক ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য। এবং আজকে য়ে কর্মসূচি তাঁদের, বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা হয়েছে। পুলিশ প্রতিবাদ করেছে, অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। ছাত্র সমাজের নামে প্ররোচনা। এই প্ররোচনায় গুন্ডা আমদানি করা হয়েছে এবং পুলিশকে অনেক জায়গায় আন্দোলনের নামে আক্রমণের শিকার করা হয়েছে। কিন্তু পুলিস ধৈর্য্য হারায়নি। পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে’।
এই প্রসঙ্গে চন্দ্রিমার প্রশ্ন, ‘এই বনধটা কেন? সমস্ত বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বুঝি! পুজোর আগে অনেক বাণিজ্যিক লেনদেন হয়। যার জন্য এই রাজ্য অর্থনীতি সব রাজ্যের থেকে চাঙ্গা। সেটা বন্ধ করে দিতে হবে! অর্থনীতিতেও এইভাবে বাধা ফেলে, একটা কিছু করতে হবে আন্দোলনের নামে। তাই বুধবার বনধের ডাক।’ তাঁর কথায়, ‘বাংলায় বনধের রাজনীতি চলে না, যবে থেকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসকের মুখ্য় ভূমিকায় আছেন, বনধ রাজনীতি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বনধটা আবার চালাতে হবে, এটা বুঝি ভেবেছেন তাঁরা। বনধ প্ররোচনামূলক, অভিসন্ধি রয়েছে এর পিছনে। বাংলার মানুষ এই বনধকে সফল হতে দেবেন না। বনধ হচ্ছে না, হবে না।’