পুজোয় অনুদান থাকলেও অস্থায়ী বৃত্তিমূলক শিক্ষকদের ৪ মাস বেতন নেই, চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে

রাজ্যের বিভিন্ন সরকার ও সরকার পোষিত উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন বৃত্তিমূলক বিষয়ে (ইনফরমেশন টেকনোলজি, অটোমোটিভ, অর্গানাইজড রিটেল, সিকিউরিটি, ইলেক্ট্রনিক্স, প্লাম্বিং, অ্যাপারেল ইত্যাদি) ১৫৯১ টি বিদ্যালয়ে কর্মরত ৩১৮২ জন এনএসকিউএফ (ন্যাশনাল স্কিলস কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক) অস্থায়ী শিক্ষক,শিক্ষিকারা দীর্ঘ ৪ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।একইসঙ্গে অভিযোগ, ২০১৩ সালে এই সরকারের আমলেই নিয়োগ হলেও নূন্যতম কোনো পরিকাঠামো উন্নতি করা হয়নি এবং শিক্ষকদের সমস্যার সমাধানের বিষয়টিও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি সরকারের পক্ষ থেকে। শুধু তাই নয়, স্থায়ী বিষয়ে অস্থায়ী ভাবেই নিয়োগ করা হয়েছে। তার জেরে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে অনিয়মিত বেতন, অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে কর্মরত শিক্ষকরা শিক্ষাদান করে আসছেন। মূল্যবৃদ্ধির যুগে ২০১৬ থেকে কোনো বেতন বৃদ্ধি হয়নি শিক্ষকদের বরং উল্টে মূল বেতন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই অল্প অনিয়মিত বেতনে শিক্ষকরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। বারংবার মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। অন্যদিকে দুর্গাপুজোর কমিটিগুলোর অনুদান প্রতি বছরে ক্রমবর্ধমান। এই সব ইস্যুকে সামনে রেখেই এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে ইমেলের মাধ্যমে আর্জি জানানো হল দ্রুত এই সব সমস্যার সমাধান করার। একইসঙ্গে বকেয়া ৪ মাসের বেতন অবিলম্বে মিটিয়ে দেওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

এছাড়াও শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মিত বেতন, বেতন বৃদ্ধি, বেসরকারিকরণ, স্থায়ীকরণ, সামাজিক সুরক্ষা,পেনশন সহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন। মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে এও উল্লেখ করা হয়েছে শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ,বেতন বঞ্চনার নিরসন ঘটিয়ে বেতন বৃদ্ধি ও বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা হোক।

এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ এনএসকিউএফ শিক্ষক পরিবার সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক শুভদীপ ভৌমিক জানান, দুর্গাপূজার কমিটিগুলো টাকা পাচ্ছে আমাদের শিক্ষকরা ১২ বছর ধরে শিক্ষাদান করে পকেট শূন্য, অবিলম্বে আমাদের প্রাপ্য বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়া হোক এবং স্থায়ীকরণ করে নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো নির্ধারণ এবং বেতন বৃদ্ধি করা হোক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 2 =