প্রতিবাদের চাপ নিতে পারছে না প্রশাসন। হঠাৎ করেই রবিবারের ডুরান্ড ডার্বি নিয়ে তৈরি হয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা। রাজ্যে বর্তমানে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে তিলোত্তমার সেখানে বড় ম্যাচ আয়োজন নিয়ে সংশয়ে প্রশাসন। যে কারণে আয়োজক কমিটির সঙ্গে বৈঠক চলছে প্রশাসনিক পদের কর্তাদের। তবে শনিবার বিকেলের পর ছবিটা স্পষ্ট হবে। এদিকে খবর, ইতিমধ্যেই ডুরান্ড কাপে ডার্বি ম্যাচের সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের সঙ্গেও আলোচনা করছে ডুরান্ড কমিটি। অতিরিক্ত সেনা নামিয়ে বাড়তি নিরাপত্তা দিয়ে ডার্বি আয়োজনের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে আয়োজক কমিটি।
এদিকে রাজ্য জুড়ে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ চলছে। ‘তিলোত্তমা’-র সুবিচার চেয়ে কলকাতায় মিছিল, মিটিং চলছে। প্রতিবাদে পথে নেমে আসছেন অনেকেই। তারই রেশ পড়ছে ডুরান্ড কাপে ডার্বি ম্যাচ। কলকাতা ডার্বি মানেই দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ তরতরিয়ে বাড়ে। তবে এবার ডুরান্ড ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের সমর্থকরা এক হওয়ার ডাক দিয়েছেন। এ যেন প্রশাসনের বিরুদ্ধেই এক অলিখিত বিদ্রোহ ঘোষণা। কারণ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ডুরান্ড ডার্বি নিয়ে কয়েকটি পোস্ট। যেখানে বলা হয়েছে, ১৮ তারিখ দুই গ্যালারি যেন এক হয়। ইস্ট-মোহন সমর্থকরা চাইছেন, আরজি কর ঘটনায় নির্যাতিতা বিচার পাক। ময়দানের লড়াই থাকুক সেখানেই। কিন্তু গ্যালারি মিলে যাক এই ভাবে।আর এমন আবহে ফুটবল ম্যাচ করা ঠিক হবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান প্রশাসনিক কর্তারা।