প্রশাসনের চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা

গোটা রাজ্যে যে ভাবে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে কপালে ভাঁজ গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে প্রশাসনের শীর্ষকর্তা থেকে চিকিৎসকদের। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে যে খবর মিলছে তাতে এই মুহূর্তে রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ২৭২। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৯৫১। গ্রামাঞ্চলে আক্রান্ত ১০ হাজার ৩২১। এরই মাঝে এদিক ওদিক থেকে আসছে মৃত্যুর খবরও।

স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে এও জানানো হয়েছে যে, রানাঘাট, আমডাঙা, বনগাঁ, চাকদা, কালিয়াচক, সিঙ্গুর, চন্তীতলার মতো একাধিক জায়গা বিগত কয়েকদিনে অনেকটাই বেড়েছে ডেঙ্গির প্রকোপ। মোটের উপর গ্রামীণ এলাকগুলিতেই ডেঙ্গুর প্রকোপ সবথেকে বেশি।

এদিকে সম্প্রতি দেখা গিয়েছে কলকাতা পুরনিগমের কাউন্সিলর পরিচালিত একটি অনাথ আশ্রমের অনাথ আশ্রমে সাতজন পড়েছেন ডেঙ্গুর কবলে। সাতজন ম্যালেরিয়ার কবলেও পড়েছেন। অনাথ আশ্রমের একাধিক জায়গায় মিলেছে ডেঙ্গুর মশার লার্ভা। ঘটনায় নিজের দলের কাউন্সিলরের দিকে তোপ দেগেছেন কলকাতা পুরনিগমের মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ। পাল্টা তোপ দেগেছেন ওই কাউন্সিলরও। এই প্রসঙ্গে শনিবার খোদ কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, গুলি বন্দুক দিয়ে নয়, পুরসভার আইন মেনেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হবে। ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কিছুটা কমলেও ডেঙ্গুর প্রকোপ এবার অনেকটাই বেশি  তা শনিবার মেনে নিতে দেখা যায় মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে   এরপরই তিনি জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধের অ্যাকশন সব সময় নেওয়া হয়।

এই প্রসঙ্গে মেয়র এও জানান, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর এই সময় পর্যন্ত শহরে প্রায় ২০০০ ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা কম। তবে সেই অনুপাত ধরলে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাতশোর বেশি। পুরসভা সূত্রে খবর, জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ২৭০০ জন। সূত্রের খবর, গত বছর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই সংখ্যাটা ছিল প্রায় দু’হাজার। সোজা কথায় ডেঙ্গি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত। এরই মাঝে পাল্লা দিয়ে চড়ছে রাজ্য়ের ডেঙ্গির গ্রাফ।

এই প্রসঙ্গে চিকিৎসকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই মরসুমে দ্বিতীয়বারের জন্য ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অনেক রোগীই আসছেন। গত বারের তুলনায় এই পর্যায়ে রোগীর সংখ্যা অনেকটাই বেশি। একইসঙ্গে তাঁরা এও জানাচ্ছেন, আক্রান্ত হওয়ার প্রথম চার থেকে পাঁচদিনের মধ্যে রোগীকে ও রোগীর চিকিৎসককে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে রোগীকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করানো হবে নাকি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে সে বিষয়েও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × five =