বিধাননগরে ডেঙ্গুর গ্রাফ ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, গত বছর বিধাননগরে সব মিলিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৫৬০ জন। সেখানে চলতি বছরের গোড়া থেকে বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, শনিবার পর্যন্ত ডেঙ্গুর রিপোর্ট পজি়টিভ এসেছে ২১৯৯ জনের, মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। গত বছর এই সময় পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯৯৮।
অর্থাৎ, এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট গতবারের চেয়ে বিধাননগরে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা এবার এখনও পর্যন্ত দ্বিগুণেরও বেশি। শুধু তাই নয়, রাজ্যের মধ্যে পজি়টিভিটি রেট বর্তমানে সব চেয়ে বেশি এই বিধাননগর পুর এলাকায়। ২৪.৭৮ শতাংশ। চলতি সপ্তাহেও আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬৯ জন।
এই পরিসংখ্যান সামনে আসতেই কপালে ভাঁজ স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের। এরপৎই স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে বিধাননগর পুরনিগমকে আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত বাড়তি নজরদারি রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানান, ‘বিধাননগর পুরনিগমকে সর্তক করা হয়েছে। রোগের প্রকোপ কমাতে যা যা করণীয়, তার সবই করতে বলা হয়েছে।’
এদিকে বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্বীকার করেছেন, ‘রোগের প্রকোপ এ বার গত বারের চেয়ে বেশি।’ বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এখনও যে ভাবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়ে চলেছে, তাতে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়বে।
এই অবস্থায় বাড়ি-বাড়ি, ফাঁকা জায়গায় নজরদারির পাশাপাশি, পুজোর নির্মীয়মাণ মণ্ডপগুলোয় বাড়তি নজর দেওয়া জরুরি। কারণ, মণ্ডপে এখন যেমন জল জমার আশঙ্কা রয়েছে, তেমনই খুঁটি পোঁতার জন্য গর্ত খোঁড়ার পর সেখানে রয়েছে জল জমার আশঙ্কা। পতঙ্গবিদদের বক্তব্য, এখন থেকেই ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রশাসনের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করা উচিত পুজো কমিটিগুলোরও। এই প্রসঙ্গে শনিবারই পুরনিগমের তরফে বিধাননগরের সব বড় পুজো উদ্যোক্তাদের চিঠি দিয়ে ডেঙ্গুর বিষয়ে সতর্ক করা হয়। একইসঙ্গে ক্লাবগুলোকেও নভেম্বর মাস পর্যন্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রচার চালানোর আর্জি জানিয়েছে বিধাননগর পুরনিগম।
হাইলাইটস-
বছর আক্রান্তের সংখ্যা:
২০১৯-১৩৬,
২০২০-২৪৫,
২০২১-৩৬৫,
২০২২-৯৯৮,
২০২৩-২১৯৯