নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআই-এর নজরে এবার উপদেষ্টা কমিটি

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার সিবিআইয়ের নজরে উপদেষ্টা কমিটি। স্কুলে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মী থেকে শিক্ষক নিয়োগে উপদেষ্টা কমিটির ভূমিকা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। স্কুল নিয়োগে এই কমিটি কীভাবে যুক্ত এবং কী তাঁর ভূমিকা, তা স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে জানতে চান তদন্তকারী গোয়েন্দারা। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক সমস্ত স্তরে নিয়োগে হয়েছে এই দুর্নীতি। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে সামনে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে হয় একাধিক মামলা। তারই তদন্তে নেমে এবার বড় তথ্য তদন্তকারী সংস্থার হাতে। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া উপদেষ্টা কমিটিতেই এবার গোলমাল।

এদিকে সূত্রে খবর, চিঠি দিয়ে নিজাম প্যালেসকে উপদেষ্টা কমিটির ভূমিকা বিস্তারিতভাবে জানিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। এদিকে রাজ্যে সমস্ত ধরনের সরকারি কর্মী নিয়োগে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির নিয়োগে সবথেকে বেশি গরমিল সামনে এসেছে।

এদিকে সূত্রে খবর মিলছে, ২০১৬ সালে শুরু হওয়া শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উপদেষ্টা কমিটি গঠিত হয় দু বছর পর ২০১৮ সালে। নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর এত পরে কেন উপদেষ্টা কমিটির গঠনের নির্দেশ সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। উল্লেখ্য, এই উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশেই ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। দুবছর পর কার নির্দেশে গড়া হয় এই নতুন উপদেষ্টা কমিটি। এই কমিটিতে কারা ছিলেন, কারা যুক্ত ছিলেন এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তা স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে জবাব চেয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

প্রসঙ্গত, নিয়োগ মামলার তদন্তে নেমে যেসব স্কুলে অনিয়ম ধরা পড়েছে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। জেলাভিত্তিক তালিকা তৈরি কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন। সেই মতো সোমবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার দুর্গাদাসী চৌধুরানী উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কবিতা সরকারকে নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এছাড়া স্কুল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রাক্তন প্রধান সচিবকেও শনিবার জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা। এছাড়া ২০১৪ সালে টেট পাশ না করেও শিক্ষক হিসেবে কর্মরত এরকম প্রার্থীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে খবর। টেট অনুত্তীর্ণরা কীভাবে পেয়েছিলেন চাকরি, তা খুঁটিয়ে দেখতে চাইছে সিবিআই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + 17 =