চলতি আর্থিক বছরে প্রত্যক্ষ করের পরিমাণ এক লাফে বেড়েছে প্রায় ২৩ শতাংশ। গত ১১ জুলাই পর্যন্ত প্রত্যক্ষ কর বাবদ সরকারি কোষাগারে জমা পড়েছে ৬ লাখ ৪৫ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। এমনটাই জানিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি)। তাঁদের দাবি, ব্যক্তিগত আয়করের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার জেরে এই পরিমাণ অর্থ জমা পড়েছে সরকারি কোষাগারে। সিবিডিটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নেট প্রত্যক্ষ কর আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯.৫ শতাংশ। যা ৫.৭ লাখ কোটি টাকারও বেশি বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়েছে রিফান্ডের পরিমাণ। যা ৭০ হাজার ৯০২ কোটি টাকা বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত আর্থিক বছরে নেট প্রত্যক্ষ কর আদায়ের সংগ্রহ হয়েছিল ৪.০৮ লাখ কোটি টাকা। এছাড়া এই সময়সীমার মধ্যে কর্পোরেট কর আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে ২০.৪ শতাংশ। টাকার অংকে যা ২ লাখ ৬৫ হাজার ৩৩৬ কোটি বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, চলতি আর্থিক বছরে এখনও পর্যন্ত ব্যক্তিগত আয়কর সংগ্রহের হার বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫.৩ শতাংশ। যা ৩.৮ লাখ কোটি টাকার সামান্য কম বলে জানিয়েছে সিবিডিটি। প্রসঙ্গত, ব্যক্তিগত করের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সিকিউরিটিজ ট্র্যানজাকশান ট্যাক্স। এতে সরকারি কোষাগারে জমা পড়েছে ১৬ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, চলতি বছরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর আদায়ের পরিমাণ যথেষ্ট ভালো মাত্রাতেই হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআইয়ের থেকেও বাম্পার লভ্যাংশ পেয়েছে সরকার। ফলে আসন্ন বাজেটে কর কাঠামোর ক্ষেত্রে তেমন কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন তাঁরা। পাশাপাশি, এই আর্থিক বছরে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ পৌঁছবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সংসদে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হাওযার আগে নিঃসন্দেহে কেন্দ্রের পক্ষে এটা খুশির খবর সন্দেহ নেই। বাজেটের মুখে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের এই অংক সরকারকে স্বস্তি দিয়েছে।
একইসঙ্গে এও মনে করা হচ্ছে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও পরিকাঠামো উন্নয়নে এবার বিপুল টাকা বরাদ্দ হতে পারে। এবছরের ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করেন নির্মলা সীতারমণ। সেখানে ২০২৫ আর্থিক বছরের মোট প্রত্যক্ষ কর আদায়ের পরিমাণ ২১.৯৯ লাখ কোটি টাকা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। অনায়াসেই সেই লক্ষ্যমাত্রা সরকার ছুঁয়ে ফেলবে বলেও ধারণা অর্থনীতিবিদদের।