বিধানসভায় পাস হল নিট বিরোধী প্রস্তাব। বিজেপির বিধায়করা প্রবল আপত্তি করলেও সে আপত্তি দাঁড়ায়নি। তবে এই ইস্যুতে বুধবার রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। এই প্রস্তাবের পক্ষে বলতে উঠে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকায় প্রশ্নফাঁস হয়েছিল বলে জানতে পারছি। দেশের ২৪ লক্ষ ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ নষ্ট করা হচ্ছে। এই পরীক্ষা আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। আমরা স্বচ্ছভাবে নিতে পারব।’
নিটে বেনিয়মের প্রতিবাদে এবং রাজ্যের হাতে মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষার ভার ফেরানোর দাবিতে বুধবার রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব আনে শাসকদল। সরকারের পক্ষে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভেনদেব চট্টোপাধ্যায় বিধানসভায় এই প্রস্তাব তোলেন। সেই নিয়ে বলতে উঠে এদিন বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী জানান, নিট কেলেঙ্কারির দুটো ধাপ আছে। একটা গ্রেস মার্কস ও আরেকটা নম্বর জালিয়াতি। ৭২০ পেয়ে এবার প্রথম হয়েছেন ৬৭ জন। বিগত বছরে প্রথম হতেন দু-তিনজন। এবার কাকে কত গ্রেস দেওয়া হয়েছে, কারা পেয়েছে সেটা পরিষ্কার নয়। এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী এও বলেন, ‘দেশের ২৪ লক্ষ ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ নষ্ট করা হচ্ছে। এই পরীক্ষা আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। আমরা স্বচ্ছভাবে নিতে পারব।’ এরই রেশ ধরে শিক্ষামন্ত্রী এও বলেন, ‘আজ যা বললাম তা হিমশৈলর চূড়া মাত্র। এর গভীরতা ও ঘনত্ব অনেক বেশি। পাটনায় কিছু গ্রেপ্তার হল। অর্থের বিনিময়ে একটা চক্র চলছিল।’
উল্লেখ্য, নিট নিয়ে দেশজোড়া আন্দোলনের মধ্যেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি তোলেন, আগের মতো মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষার ভার ছাড়া হোক রাজ্য সরকারগুলির হাতে। পরে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করে রাজ্যের হাতে মেডিক্যাল প্রবেশিকা ফেরানোর দাবিতে প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।