আদালত চত্বর থেকে এক ব্যক্তিকে মারতে মারতে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। এই ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করল বার অ্যাসোসিয়েশন।
সূত্রে খবর, বাঁশদ্রোণী থানার এক প্রতারণার মামলায় আত্মসমর্পণ করতে আলিপুর আদালতে এসেছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু তদন্তকারী অফিসার কেস ডায়েরি জমা দিতে না পারায় আলিপুর আদালতের এসিজেএম-এর এজলাস থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, পরবর্তী দিনে শুনানি হবে। তখনকার মতো ওই ব্যক্তি ও তাঁর আইনীজীবী এজলাস থেকে বেরিয়ে যান। এর কিছু পরেই ওই ব্যক্তির আইনজীবী প্রায় ছুটে এসে এসিজেএম-এর এজলাসে জানান, আদালত চত্বর থেকে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে মারতে মারতে আটক করে নিয়ে গিয়েছেন। আর এই নিয়েই তীব্র অসন্তোষ আদালতের আইনজীবী মহলে। ঘটনার প্রতিবাদে বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে শুরু হয় কর্মবিরতি। একইসঙ্গেএই ভাবে ওই ব্যক্তিকে আদালত চত্বর থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার তীব্র নিন্দাও করা হয়। কারণ, আদালত চত্বর থেকে যেন কাউকে গ্রেফতার না করা হয়, এই মর্মে অতীতে হাইকোর্টের মৌখিক নির্দেশ রয়েছে। যদি গ্রেফতার করতে হয়, তাহলে সিজেএম-এর থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে। ঘটনায় অসন্তুষ্ট আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই আদালতের সিজেএম ও এসিজেএম-এর নজরে এনেছেন বিষয়টি। আলিপুর আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সহসম্পাদক সুব্রত সর্দার জানান, ‘এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় আমরা নিন্দা প্রকাশ করছি। তাই আপাতত আমরা কর্মবিরতিতে আছি।’
তবে সিজেএম ও এসিজেএম উভয়েই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছেন বলে জানান আলিপুর আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা। বাঁশদ্রোণী থানার ওসিকে ইতিমধ্যেই বিচারক ডেকে পাঠানো হয় আদালতে। শেষ পর্যন্ত আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ। আলিপুর আদালতে এসে ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয় বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ।