মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ বিজেপি শাসিত রাজ্য়ের

ছাত্রদের নবান্ন অভিযানে পুলিশি ‘অত্যাচারের’ অভিযোগে বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডেকেছিল বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা থেকে বিরোধীদের আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘বাংলায় যদি আগুন লাগান, কোনও রাজ্য থেমে থাকবে না।’ এরপরই মমতার এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে সরব হন একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, বুধবার টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরজি করের ঘটনায় দোষীর ফাঁসি চাই বলে ফের জানান। তারপরই বিজেপিকে আক্রমণ করেন। সেইসময় তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ মনে করছেন এটা বাংলাদেশ। আমি ওদের ভালবাসি। ওদের সংস্কৃতি আমাদের সংস্কৃতি এক। তবে এটা আলাদা রাষ্ট্র। ভারতবর্ষ একটা আলাদা রাষ্ট্র। বাংলায় যদি আগুন লাগান, কোনও রাজ্যই থেমে থাকবে না। বাংলায় আগুন লাগালে অসম থেমে থাকবে না। উত্তর-পূর্ব, উত্তর প্রদেশ থেমে থাকবে না। বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং দিল্লিও থেমে থাকবে না। আপনার চেয়ারটা আমরা টলমল করে দেব।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘দিদি, আপনার এত সাহস হল কীভাবে যে অসমকে হুমকি দিচ্ছেন? আমাদের রক্তচক্ষু দেখাবেন না। বিভাজনকারী ভাষা বলাটা আপনার শোভা পায় না।’

মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘তৃণমূল সরকারের নারী বিরোধী আচরণ গণতন্ত্রের লজ্জা।’

এর পাশাপাশি মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা করে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি বলেন, ‘ওড়িশার সম্পর্কে আপত্তিজনক মন্তব্য করার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? ওড়িশা শান্তিপূর্ণ রাজ্য। এখানকার মানুষ দায়িত্ববান।’ এই ধরনের মন্তব্য না করার অনুরোধ জানান ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী।

এদিকে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং, ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সভাপতি বাবুলাল মারান্ডি এবং বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় কুমার সিনহা মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা করেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 + six =