আসন্ন ৬ বিধানসভা উপনির্বাচনে বুথ ভিত্তিক টার্গেট স্থির তৃণমূলের

আসন্ন ছয় বিধানসভা উপনির্বাচনে বুথ ভিত্তিক টার্গেট স্থির করল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতি বুথে ৫১ শতাংশ ভোট পেতেই হবে, এই লক্ষ্যে ঝাঁপাচ্ছে শাসক দল। গত লোকসভা নির্বাচনে বুথের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের থেকে রিপোর্ট আগেই নিয়েছে শাসক দল। সেই রিপোর্ট অনুসারেই কৌশল ঠিক করেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।

মাদারিহাটে প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েতে একজন করে নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই বিধানসভার ভোটে ফ্যাক্টর চা-বাগান। তাই বাগানে শ্রমিক মহল্লায় প্রচারে জোর দিতে বলা হয়েছে। মাদারিহাটে মনোজ টিগগা পরিচিত নেতা। বিজেপির সাংগঠনিক দক্ষতাও এখানে/এই জেলায় ভাল। তাই সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত এমন নেতাদের ভোটের কাছে এই কেন্দ্রে বেশি করে ব্যবহার করবে শাসক দল।

প্রসঙ্গত, সিতাইয়ে ভাল ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আন্তর্জাতিক সীমান্ত ঘেঁষা এই অঞ্চলে জগদীশ বসুনিয়া পরিচিত। সাংসদ নির্বাচিত হয়ে গেলেও এলাকায় তিনিই গুরুত্বপূর্ণ মুখ। ফলে ভোটের কৌশলে তিনি-ই মুখ্য ভূমিকা নিতে চলেছেন। আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল, লোকসভা ভোটের পরে কোচবিহার জেলাতেই সবচেয়ে বেশি বিজেপি শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

মেদিনীপুরে পুর এলাকায় নিজেদের ভোট বাড়াতে চায় শাসক দল। তাই বুথ পিছু পুর উন্নয়নের ফিরিস্তি নিয়ে প্রচারে যাবে শাসক দল। গ্রামীণ এলাকার বুথেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রচার করবে তারা। একই পদ্ধতি তালড্যাংরার বুথেও নিচ্ছে শাসক দল। সাংসদ তথা জেলা সভাপতি অরুপ চক্রবর্তী বিশেষ দায়িত্বে আছেন। পাশাপাশি বুথ স্তরে প্রতিদিন দু’বেলা করে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। আরজি কর আবহে শহর থেকে কাছের ভোট নৈহাটিতে। এই ভোটে পুর এলাকার ভোট ফ্যাক্টর। তবে এখানেও বুথ ভিত্তিক সংগঠন ২০২৪ লোকসভা ভোটে সাফল্য দিয়েছিল শাসক দলকে। সেই বুথে বুথেই প্রচারে যাচ্ছে তারা। অশান্তি বন্ধ আর পরিষেবা যথাযথ হাতিয়ার এই দুটো ইস্যু। হাড়োয়াতেও বুথ ধরে ধরে প্রচারে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপনির্বাচন হতে চলা বিধানসভাগুলির যে সব বুথে লোকসভা নির্বাচনে ভোট কম পেয়েছে শাসক দল সেখানেই বেশি করে প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + eight =