চূড়ান্ত অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকলো মহেশতলার বাসিন্দারা। এখানকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায় কাজ করতে গিয়েছিলেন বছর চোদ্দর সামসাদ আলি। আর এরপরই তাকে চোর অপবাদ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগে সামসাদ আলির পরিবারের সদস্যদের। মারধরেই ক্ষান্ত থাকেনি অভিযুক্ত। সামসাদকে ইলেকট্রিক শকও দেওয়া হয়। এই সামসাদের বাড়ি ইসলামপুর থানার ছোঘরিয়া এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর আনুমানিক প্রায় তিন বছর আগে ভাড়া নিয়ে মহেশতলা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কানকুলি পূর্বপাড়ায় জিন্স প্যান্ট ওয়াশের কারখানা করেন শাহেনশা নামে এক ব্যক্তি। এই কারখানাতেই কাজ দেওয়ার নামে একই পরিবারের দুই ভাই সামসাদ আলি ও আনসার আলিকে নিয়ে যায় শাহেনশা। প্রায় দেড় মাস ধরে সেখানেই কাজ করত ওই দুই ভাই।
স্থানীয়রা জানান, এলাকাবাসীদের দাবি এই ঘটনা গত শনিবারের। সেই দিন এই কারখানার বাইরে ওই কিশোরকে তারা দেখেন। কারো শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। কী কারণে মারা হয়েছে জিজ্ঞেস করাতে কারখানার লোকজন জানায় যে সে মোবাইল চুরি করেছে তাই তাঁকে মারা হয়েছে। চুরির মিথ্যা অপবাদে ১৪ বছরের কিশোরকে উল্টো করে ঝুলিয়ে বেধড়ক মারধর, ইলেকট্রিক শক। তবে তাঁরা একইসঙ্গে এও জানান, এই নৃশংসতার সম্পর্কে বিন্দুবিসর্গ তাঁরা জানতেন না। এরপরই সোমবার কারখানা বন্ধ করে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত শাহেনশা। বর্তমানে বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে কারখানা।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, মহেশতলার কিশোর নিগ্রহের ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শাহেনশা-সহ মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে রবীন্দ্রনগর থানায়। এই ঘটনায় যে ক’টি ভিডিও ফুটেজ মিলেছে তা দেখে চিহ্নিত করা হয় মোট ৪ জনকে, যারা সরাসরি কিশোরকে নিগ্রহের ঘটনায় যুক্ত ছিল। অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করলে মূল মাথার খোঁজ মিলবে বলে মনে করছে পুলিশ।