দিল্লি থেকে এসে সীমান্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের বিএসএফ জওয়ান কর্তারা। পরিদর্শন করে বিএসএফের ডিজির স্পষ্ট নির্দেশ, মাছিও যেন না গলতে পারে। সুন্দরবন, উত্তর ২৪ পরগনা, মালদহ, মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু অংশে ফাঁকফোকর রয়েছে। সেখানে বাড়তি জওয়ান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনভাবেই প্রাণঘাতী গুলি ব্যবহার করা যাবে না বলেও এদিন নির্দেশ দেওয়া হয়।
নির্দেশ, কোনওভাবেই গুলি চালানো যাবে না। রবার বুলেট প্রয়োজনে ব্যবহার করা যেতে পারে। যদিও তা খুব এমারজেন্সি হয়ে পড়লে। আগে সীমান্তকে সুরক্ষিত করতে হবে। তারপর বাকি কাজ। প্রয়োজনে ফ্লোটিং বর্ডার আউট পোস্ট আরও বেশি করতে হবে। টহল দিতে হবে নদীতে। যে বর্ডার আউটপোস্টের অংশ স্পর্শকাতর হয়ে রয়েছে বা অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে অথবা জঙ্গি কার্যকলাপ আগে ওই অংশ দিয়ে হয়েছে, সেখানেই সব থেকে বেশি জওয়ান রাখার নির্দেশ।
বর্ডার আউটপোস্ট গুলির ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা এবং আধুনিক নাইট ভিশন ক্যামেরা গুলি সক্রিয় রাখা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিনের আলোয় নয়, রাতের অন্ধকারে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছেন বিএসএফের ডিজি।। সে কারণে আগামী কয়েকদিন বাড়তি সতর্ক থাকার নির্দেশ দিলেন তিনি।
দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের তুলনায় উত্তরবঙ্গ এবং কোচবিহার ফ্রন্টিয়ার নিয়ে তেমন আশঙ্কিত নন বিএসএফ কর্তা। কারণ, বিএসএফের নিজস্ব ইন্টেলিজেন্স সূত্রে ইতিমধ্যেই খবর এসেছে, অনুপ্রবেশ এবং জঙ্গি কার্যকলাপের ক্ষেত্রে দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারই টার্গেট। আর সে কারণেই গত কয়েকদিন ধরে বারবার করে জওয়ানদের উপরে অস্ত্র নিয়ে হামলা হয়েছে। এদিন স্পর্শকাতর বর্ডার আউটপোস্ট এলাকাগুলিতে গিয়ে সেই বিষয়টি নিয়ে আরও ভালোভাবে পর্যালোচনা করেন বিএসএফের ডিজি। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য তিনটি ফ্রন্টিয়ারের অধীনস্থ। উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার, দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার, গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ার।