আরজি কর কাণ্ডে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে হাসপাতালের অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি কেন এত দেরি করেছিলেন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এবার মরিয়া সিবিআই।
গত ছ দিন ধরে সন্দীর ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই৷ বুধবারও সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ৷ গত ৯ অগাস্ট সকালে হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুমে ওই তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল৷ অভিযোগ ওঠে, তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পরে হাসপাতালের পক্ষ থেকে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতেই অনেকটা দেরি হয়৷ কেন এতটা দেরি হল, সন্দীপ ঘোষকে সেই প্রশ্নই করেন সিবিআই তদন্তকারীরা৷ সিবিআই সূত্রে খবর, সন্দীপ ঘোষ দাবি করেছেন, উপর মহলের নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন প্রথমে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি৷ সবুজ সঙ্কেত আসতেই অভিযোগ জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷
ওই তরুণী চিকিৎসককে যে হত্যা করা হয়েছে, খালি চোখে দেখেই তা বোঝা যাচ্ছিল বলে সিবিআইকে জানিয়েছেন একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী৷ এদিকে সন্দীপ ঘোষ নিজে অভিজ্ঞ চিকিৎসক হয়ে কেন এই বিষয়টি বুঝতে পারলেন না, সন্দীপ ঘোষকে সেই প্রশ্নও করেন সিবিআই কর্তারা৷
এর পাশাপাশি, সেমিনার রুমের সংলগ্ন অংশের সংস্কার কাজও কেন তড়িঘড়ি শুরু করা হয়েছিল, সেই প্রশ্নও করা হয়েছিল সন্দীপ ঘোষকে৷ এক্ষেত্রেও উপরমহলের দিকেই দায় ঠেলার চেষ্টা করেছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ৷ তিনি দাবি করেন, স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেই সংস্কার কাজ শুরুর নির্দেশ দেন তিনি৷