রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আরও চার সপ্তাহ রাখা যায় কি না কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল আদালত। কারণ, বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের তরফ থেকে আদালতের কাছে আর্জি ছিল রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস চলছে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে সমস্যা হবে। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে।
প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, যেহেতু প্রথমে ভোটের পর ১০ দিনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাই আর তাদের মেয়াদ বাড়াবো যাবে কি না সে সিদ্ধান্ত কেন্দ্রকেই নিতে হবে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ২২ জুলাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর এ রাজ্যে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরপর আর কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না তা নিয়ে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতকে জানাবে। সোমবার ফের এই মামলার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই কেন্দ্রীয় বাহিনী ইস্যুতে মামলার দল গড়িয়েছে হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টেও। এরপর বহু জল ঘোলা হওয়ার পর প্রতি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট হয় এ রাজ্যে। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট সর্বত্র সে মামলা ঘুরেছে। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হলেও তারপরও হিংসার পরিমাণ কমেনি। উল্টে ভোটপর্বে ৫০ জনের উপরে প্রাণ হারিয়েছেন। বিরোধীদের অবশ্য দাবি, রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার না করে বসিয়ে রেখেছে। তাতে হিংসা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বিরোধীরা চেয়েছিল, ভোটের পরও কিছুদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে থাক। সেইমতো কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে বিভিন্ন জেলায়। তবে শনিবার তার শেষদিন। এবার সেই মেয়াদ বাড়াতে চেয়ে নতুন আবেদন হল হাইকোর্টে।