এবার বঙ্গে বিশেষ নজর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যের দায়িত্বে থাকছেন বিশেষ নির্বাচনী আধিকারিক। ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার নীতেশ কুমার ব্যাস এরাজ্যের দায়িত্বে থাকছেন।কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুল বেঞ্চ আসার আগে এরাজ্যে আসবেন তিনি। ভোটের তদারকি করতে এমাসেই আসার সম্ভাবনা। মধ্যপ্রদেশের ক্যাডার নিতেশ কুমার এর আগেও একাধিক নির্বাচনের তদারকিতে একাধিক রাজ্যে ছিলেন।গত বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় নির্বাচনের তদারকিতে ছিলেন সন্দীপ স্যাক্সেনা। নীতেশ রাজ্যে এসেই প্রথমে জেলাশাসক ও অতিরিক্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য তাঁর নখদর্পণে থাকবে।
এদিকে সুষ্ঠুভাবে লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন করতে এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চায় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই দেশের জেলাশাসক ও অতিরিক্ত জেলাশাসকদের প্রশিক্ষণ এবং কী করতে হবে তা ঠিক করে দেয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। হিংসা রুখতে আরও বেশি কঠোর হয়েছে কমিশন। পাশাপাশি বুথ জ্যাম, ছাপ্পা ভোট রুখতে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে কমিশন।
পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনায় কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলে জেলাশাসক এবং অতিরিক্ত জেলাশাসকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রে খবর। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই আধিকারিকদের দিল্লিতে ডেকে একাধিকবার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। আর সেই কারণেই এবার সব রাজ্যেই বিশেষ নজরদারির মধ্যে দিয়ে নির্বাচন করাতে চায় কমিশন। কিন্তু এবারের বিশেষ নজর থাকছে বাংলায়।পূর্ব নির্বাচনগুলিতে ওঠা একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতেই কমিশনের এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। শাসক বিরোধী দুপক্ষই ময়দানে নেমে পড়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করছেন, ‘ভোট এসেছে, তাই হামলা শুরু হয়েছে।’ দলিত বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে অভিযোগও করেন তিনি।প্রতিবাদে তিনি বুধবারই দিঘা, ভূপতিনগরে প্রতিবাদ মিছিল করেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলায় একাধিক হিংসার অভিযোগ ওঠে।