মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নীতি আয়োগের বৈঠক ‘বয়কট’ করার ঘটনায় এবার মুখ খুললেন নীতি আয়োগের সিইও বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম। তিনি জানান, প্রত্যেকে কতক্ষণ বলবেন, তা নির্ধারিত। প্রত্যেক টেবিলের সামনে সেই সময় ডিসপ্লের ব্যবস্থা ছিল।
শনিবার-ই নীতি আয়োগের সিইও সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, লাঞ্চের আগে বক্তব্য রাখতে চেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম, ‘তা মেনে নেওয়া হয়। সাধারণত আমরা রাজ্যের আদ্যাক্ষর ক্রমে বলার সুযোগ দিই। তাই শুরু হয়েছিল অন্ধ্র প্রদেশ দিয়ে। তারপর অরুণাচল প্রদেশ। আমরা অ্যাডজাস্ট করে নিই। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওনাকে গুজরাতের আগে ডাকেন। উনি বক্তব্যও রেখেছেন।’
বিভিআর সুব্রহ্মণ্যমের কথায়, প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীর জন্য সাত মিনিট সময় বরাদ্দ ছিল। তিনি জানান, ওনার প্রতিটা কথাই যথেষ্ট মনোযোগ দিয়ে শোনা হয়। এমনকী উনি কলকাতার বিমান ধরতে বেরিয়ে যাওয়ার পরও মুখ্যসচিব ছিলেন, বলে জানান বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম।
বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম আরও জানান, কেরল, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গনা, বিহার, দিল্লি, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, পদুচেরির প্রতিনিধি এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, নীতি আয়োগ বৈঠকে থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্ধারিত সময়ের আগেই বেরিয়ে আসেন। এরপর তিনি জানান, তাঁর বক্তব্যের পাঁচ মিনিট হতে না হতেই বেল টিপে থামানো হয়। তারই প্রতিবাদে বৈঠক ত্যাগের সিদ্ধান্ত।