আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল বঙ্গ ঠিক তখনই একেবারে বেপাত্তা শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। কারণ, তিনি আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান।
এদিক সূত্রে খবর, সিঁথির মোড়ে নার্সিং হোম রয়েছে সুদীপ্তবাবুর। সেখানেই রয়েছে বাড়ি। কিন্তু, কোথাও তাঁর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। ফোন তুলছেন না সুদীপ্তবাবু। খোঁজ চলেছিল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডেও। কিন্তু সেখানেও তিনি আসছেন কিছুক্ষণের জন্য। এরপরই নাকি ফের চলে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরই আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। গত বছরের শুরুতে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয় সুদীপ্ত রায়কে। তার জায়গায় নতুন দায়িত্ব পান শান্তনু সেন। যদিও অক্টোবরেই হয়েছিল ফের বদল। ফের পুরনো পদে বহাল করা হয় সুদীপ্তকে। এদিকে ওই সময়ই গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর সন্দীপ ঘোষকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ পাঠিয়েছিল স্বাস্থ্য ভবন। তবে তার কিছুদিনের মধ্যেই ফের তাঁকে ফেরানো হয় আরজি করের অধ্যক্ষের পদে। সেই সময় তা নিয়ে বিস্তর চাপানউতোর চলেছিল। তথনই আবার রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছিল শান্তনুকে।
সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সুদীপ্তর প্রসঙ্গ উঠতেই চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগে বলেন, ‘সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত লোক। এক সময় শ্রদ্ধা করতাম। আরজি করের মেশিন নিজের নার্সিং হোমে লাগিয়েছেন। পুরোনো মেশিন আরজি করে চালান দিয়েছেন।’ এদিকে শুভেন্তাঁদুর এই মন্রতব্যের পরই শুরু হয় বঙ্গ রাজনীতিতে চাপানউতোরও।