সেমিনার হলের দু’শো মিটারের মধ্যে রেস্ট রুম তৈরির ঘর বানাতে গিয়ে বিপাকে আরজি কর কর্তৃপক্ষ। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে সিবিআই আসার আগেই কেন এই ভাঙচুর তা নিয়ে। জল্পনা শুরু হয়েছে, এটা আদতে আরজি করে যে মহিলা ডাক্তারের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে তারই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা কি না তা নিয়ে। এই ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়েরও করেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি। তাঁরও একই প্রশ্ন সিবিআই যাওয়ার আগে এই ভাঙচুর কেন?
এরপর বুধবার এই ইস্যুতে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কৌস্তভ বাগচি। জরুরি ভিত্তিতে মামলা শোনার আবেদন। তদন্তকারী সংস্থা জানে,তাদের কী করতে হবে জানান প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি তদন্তকারী সংস্থাকে সম্পূর্ণ বিষয় জানানোর পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি।
উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, তিলোত্তমার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গত ৯ তারিখ। আর ১০ তারিখ থেকে শুরু হয় রেস্ট রুম তৈরির কাজ। ভাঙচুর করা হয় সেমিনার হল লাগোয়া ঘর। প্রশ্ন উঠতে থাকে হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের আগেই কেন শুরু হল সংস্কারের কাজ? প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা? এরপরই আজ জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে কৌস্তভ বাগচী। বিষয়টি নিয়ে সরব হন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে তাকে নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে। এটা শুনেই সিবিআই কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি আপনারা দ্রুত আরজি করে যান। তথ্য লোপাটের চেষ্টা চলছে। এই তথ্য লোপাটের আশঙ্কা আদালতে আমরা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে আদালতে জানিয়েছিলাম। এইজন্যই আদালত আমাদের সিবিআই তদন্ত দিয়েছে।’