‘জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির কারণে ২৯টি মূল্যবান প্রাণ আমরা হারিয়েছি।’ মৃতদের পরিবার পিছু এবার ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করতে শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে স্বাস্থ্যভবনের সামনে ম্যারাথন ধরনায় বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিকে বৃহস্পতিবার নবান্নে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারীদের ৩০ জন প্রতিনিধি। তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু লাইভ স্ট্রিমিংয়ের শর্ত মানতে রাজি ছিল না সরকার, ফলে সেই বৈঠক ভেস্তে যায়।
এদিকে তখনও নবান্ন সভাঘরের বাইরে বসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট অপেক্ষা করেছি। ডাক্তার ভাইবোনেদের যাঁরা এসেছেন এখানে, আসতে বলা হয়েছিল, তাঁদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তাঁরা আসবেন বৈঠকে’। তাঁরা কথায়,’আশা করি মানুষ বুঝতে পারছেন, ওরা বিচার চায় না, ওরা চায় চেয়ার। আমি মানুষের স্বার্থে পদত্যাগ করতেও রাজি আছি। আমার মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাই না। আমি চাই, মানুষ বিচার পান, তিলোত্তমা বিচার পান, আর সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পান’।
এর পাশাপাশি লাইভ স্ট্রিমিং নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওরা যেটা বলছে, ঠিকই বলছে। একবার ওদের নিয়ে লাইভ স্ট্রিমিং করে দিয়েছিলাম, কিন্তু তখন সুপ্রিম কোর্টের কাছে বা সিবিআইয়ের কাছে কেসটা ছিল না। সেটা অন্য ঘটনা ছিল। আমরা রেকর্ডিং করার ব্যবস্থা করেছিলাম। সেটা চিঠি লিখে দিয়েছিলাম। বৈঠক যখন হবে, সবটাই রেকর্ডিং হবে। আমরা তিনটে ভিডিয়ো ক্যামেরা রেখে দিয়েছিলাম। তারা যদি চাইত, শেয়ার করতেও পারতাম। সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশে লাইভ স্ট্রিমিং করা যায় না।’