লোকসভা নির্বাচনী আবহে সাধুদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। সেই ইস্যুতেই মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার নিষ্পত্তি করল আদালত। এটি জনস্বার্থ মামলা বলে মনে হচ্ছে না, এমনটাই পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের। সঙ্গে এও জানানো হয়, অন্যভাবে অভিযোগ জানানো যেতে পারে। আর হাই কোর্টের এই নির্দেশেই মামলাকারী বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বড়সড় ধাক্কা খেল। ফলে আদালতে কার্যত স্বস্তি পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের প্রচার করতে কামারপুকুরের সভা থেকে বহরমপুরের ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রধান কার্তিক মহারাজকে নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য করেন, ‘সব সাধু সমান হন না। এই যে কার্তিক মহারাজ যিনি বলেন তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেবেন না, তাঁদের আমি সাধু বলে মানি না। তিনি সরাসরি রাজনীতি করে দেশটার সর্বনাশ করছেন।’ এ প্রসঙ্গে রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ, ইসকন মন্দিরের রাজনীতি যোগ নিয়ে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী।
সাধুদের নিয়ে মন্তব্যের জেরে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হন সাধুদের একাংশ। কলকাতায় পদযাত্রাও করেন তাঁরা। বাগবাজার সারদা মায়ের বাড়ি থেকে বিবেকানন্দের বাড়ি পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। সেই মামলার এদিন নিষ্পত্তি করল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এটা পুরনো গল্প। হলফনামা দেখে জনস্বার্থ মামলা বলে মনে হয়নি। অন্য কোনওভাবে অভিযোগ জানাতে পারেন বা অন্য আদালতে যেতে পারেন, এমনটাও বলেন বিচারপতি।