সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার বার্তা দিলেন তিনি বাংলা ভাগ মানছেন না। এর আগেও বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভায় তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, ‘বাংলাকে ভাগ করা চক্রান্ত চলছে। কখনো সাংসদ কখনো মন্ত্রী কখনো বিধায়ক এই দাবি করছেন। তাঁদের গলায় নানা রকম প্রস্তাব উঠছে। আমি বলছি এই নিয়ে যা বলার বিধানসভায় এসে বলুন। এখানে আলোচনা হোক এবং ভোটাভুটি হোক। কোনও ভাবেই আমরা বাংলাকে ভাগ হতে দেব না। বিজেপির এই চক্রান্ত আমাদের রুখতেই হবে।’ বিধানসভার অধিবেশনে মমতাকে এও বলতে শোনা যায়, ‘উত্তরবঙ্গের সমস্ত উন্নয়ন আমরা করেছি। আর ভোটের সময় বিজেপি খালি ভাগের রাজনীতি করে। গোর্খাল্যান্ড, কামতাপুরী। উত্তরবঙ্গ আলাদা এই দাবি শুধু ভোটের সময় এদের গলায় শোনা যায়।’
শুধু স্পষ্ট বার্তা দেওায়ই নয়, এদিন কার্যত এই বঙ্গভঙ্গের ইস্যুতে হুঁশিয়ারিও দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘বাংলাকে তো কিছু দেবেন না। ক্ষমতা থাকলে ভাগ করে দেখান। অনেক সহ্য করেছি আর করব না।’
উল্লেখ্য, এই বাংলা ভাগের দাবি নতুন নয়। বিগত কয়েক দশক ধরে বাংলাকে ভাগ করে পৃথক-পৃথক রাজ্য করার দাবি উঠেছিল। কখনও গোর্খাল্যান্ড কখনও আবার কামতাপুরি। এবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার সরাসরি রাজ্যভাগের কথা না বললেও উন্নয়নের জন্য উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি করেছেন। আবার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বাংলার মালদহ এবং মুর্শিদাবাদকে আলাদা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। আরও এক ধাপ এগিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষও মালদা-মুর্শিদাবাদ জেলাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে দাবি তাঁর।