পরিবহণ দফতরের রিভিউ মিটিংয়ে বাস এবং ট্রাম পরিষেবা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

আমজনতার অভিযোগ, সরকারি বাসের সংখ্যা নাকি কমে গিয়েছে। বহু সময়ে বহু নিত্যযাত্রী বিশেষ করে যাঁরা অফিস যাত্রী তাঁরা দাবি করেন দাঁড়িয়ে থেকে বাস পাচ্ছেন না। আর এবার এই ঘটনায় উষ্মাপ্রকাশ করতে দেখা গেল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুধু তাই নয়, ট্রাম লাইন নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। মঙ্গলবার পরিবহণ দফতরের রিভিউ বৈঠকে সরকারি বাসের সংখ্যা কম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই খবর নবান্ন সূত্রে। একইসঙ্গে এও জানা গেছে, রাস্তায় সরকারি বাসের সংখ্যা কমছে কিন্তু তেলের জন্য খরচ বাড়ছে কেন, এমনই প্রশ্ন পরিবহণ দফতরের রিভিউ মিটিং-এ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বেতন দিতে সমস্ত টাকা খরচ হয়ে গেলেও আয় বাড়ছে না বলে দাবি করেন তিনি। এরপরই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টতই দু’টি বাসের মধ্য়ে সময় কমানোরও পরামর্শ দেন। সঙ্গে এও পরামর্শ দেন, প্রয়োজনে তিন শিফটের বদলে চার শিফটে কাজ করানো হোক। এদিকে নবান্ন সূত্রে খবর, সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলায় প্রায় ১ হাজার ১৮০ টি বাস আটকে রয়েছে বলে মমতাকে জানিয়েছে পরিবহণ দফতর।

প্রসঙ্গত, পরিবেশ বান্ধব বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ানোর নীতি নিয়েছে রাজ্য। সম্প্রতি ১ হাজার ১৮০টি বৈদ্যুতিক বা ই-বাস কেনা হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলার দরুণ বাসগুলি এখনও পথে নামানো যায়নি। মামলার রায় সরকারের অনুকুলে গেলে ওই বাসগুলি দ্রুত পথে নামাতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে পরিবহণ দফতরের আয় বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও পরিবহণ দফতরের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করেছিলেন, স্লথ গতিতে কাজ করেন সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা। কার্যত ক্ষোভের সুরে পরিবহণ দফতরের কর্তাদের গাড়ি ছেড়ে সাইকেল বা ‘১১ নম্বর গাড়ি’ ব্যবহার করতেও বলেছিলেন তিনি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 − 1 =