দত্তপুকুরের বিস্ফোরণকাণ্ডে এখনও পর্য়ন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। ন’টি শবদেহ এখনও টাটকা। এদিকে বিস্ফোরণস্থল বাজি কারখানার আশেপাশে প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক মিলেছে। বেশ কয়েকটি রাসায়নিক পদার্থের হদিশ পেয়ে স্তম্ভিত তদন্তকারীরা। এগরায় বিস্ফোরণকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী গাইডলাইন তৈরি করে দেওয়ার পরও কেন এই ঘটনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। সোমবার ধর্মতলায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা থেকে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি এদিনের মঞ্চ থেকে আতসবাজিগরদের বার্তা দেন, ‘আতসবাজি নয়, আপনারা সবুজ বাজি তৈরি করুন। তাতে টাকা কম হবে, কিন্তু জীবনও বাঁচবে।’ একইসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো এও বলেন, ‘পুলিশরা কেউ বেআইনি কাজ করছে দেখছি আজকাল। তবে সবাই না। কেউ কেউ। বাকিরা আমার পরিবার। আমি অ্যান্টি করাপশন সেল করেছি। খেয়াল রাখছি। গাড়ি নিয়ে আইন ভাঙলে টাকা নেবেন। নাহলে কেন টাকা পকেটে নেবেন?’ এরই রেশ টেনে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘আমরা সবুজ বাজি করেছি। আপনাদের বলছি, ফায়ার ক্র্যাকার নয়, সবুজ বাজি করুন। টাকা কম হবে, তবে জীবন বাঁচবে। রাজ্যের ইটভাঁটা, বালি খাদানে কোনও আইন ছিল না। আমরা আইন করেছি।’
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় ১১ জনের মৃত্যুর পর ক্লাস্টার তৈরির কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেদের এলাকায় বেআইনিভাবে বাজি কারখানা গড়ে উঠছে কিনা, জনপ্রতিনিধিদের সে বিষয়ে নজরদারির নির্দেশও দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও কীভাবে দত্তপুকুরে এই বীভৎস কাণ্ড ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।