কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিটি বুথেই সিসিটিভি লাগাতে হবে। যেখানে সিসিটিভি থাকবে না সেখানে ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। এরই পাশাপাশি কতগুলি বুথে প্রযুক্তিগত কারণ সিসিটিভি লাগানো সম্ভব নয় বা তার মধ্যে স্পর্শকাতর ও অতিস্পর্শকাতর বা অশান্তিপ্রবণ বুথ কতগুলি রয়েছে তা নিয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন জেলাশাসকদের কাছে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট চেয়েছে। একইসঙ্গে প্রকৃতিক বিপর্যয় হলে ভোটগ্রহণ পর্ব চলাকালীন সিসিটিভি চালু রাখা কী করে সম্ভব তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। কমিশন সূত্রের খবর, এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে বুথের সংখ্যা ৬১ হাজার ৬৩৬। এদিকে বহু বুথে নজরদারির জন্য সিসিটিভি বাসানোর ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে। এ ছাড়াও এত বিপুল সংখ্যক সিসিটিভি ভাড়ায় সংগ্রহ করা কতটা সহজ হবে তা নিয়েও কমিশন চিন্তিত। কারণ, আদালতের নির্দেশ, প্রতিটি বুথে অন্তত চারটি ক্যামেরা লাগাতে হবে। সেক্ষেত্রে সিসিটিভি ভিন রাজ্য থেকে ভাড়ায় আনার প্রস্তাবও রয়েছে। তার চেয়ে বড় প্রশ্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। কারণ এ বার পঞ্চায়েতে ভোট হচ্ছে ভরা বর্ষায়। গ্রামাঞ্চলে অতিবৃষ্টি ও ঝড়-জলের সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয়ভাবে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে স্বাভাবিক সময়ই এই ঘটনা ঘটে। তা না হলে ঝড়-জলের সময় বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে বা তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের মতো দুর্ঘটনা ঘটে।
জেলাগুলি ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছে, কমিশন বলছে, ভোটে লাগাম ছাড়া খরচ করা যাবে না। বাজেটের গন্ডির মধ্যেই খরচ রাখতে হবে। অথচ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হচ্ছে। মহকুমা স্তরে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার জন্য স্কুল বাড়ি ব্যবহার করতে না বললেও উপায় নেই। এ ছাড়াও বাহিনী যেখানে থাকবে সেখানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ তাদের অস্ত্র ভাণ্ডার যেখানে থাকবে সেখানে কোনওভাবেই আলো যেন না নেভে। গোটা চত্বরেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। বর্ষার মধ্যে যা নিশ্চিত করে বলা অসম্ভব। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী যেখানে থাকবে সেখানে জেনারেটারের ব্যবস্থা করতেই হবে। এরপর বুথে চাইলেই জেনারেটার বা ব্যাটারির ব্যবস্থা করতে হলে খরচ অনেকটাই হবে। তাই বুথে মোমবাতিই ভরসা।