পরবর্তী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ কংগ্রেস শিবিরের

চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে মাত্র একটি আসন জিতেছে কংগ্রেস। ২৫ বছর পর হেরে গিয়েছেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা অধীর রঞ্জন স্বয়ং। আবার পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতির পদও ছেড়েছেন। সেই অধীর চৌধুরীর জায়গায় বাংলায় কংগ্রেসের হাল কে ধরবেন তা নিয়ে সোমবার দিল্লিতে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপালের সঙ্গে বৈঠক শেষে কারও নাম জানালেন না অধীর। মুখে কুলুপ আর এক প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যেরও।

লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় খারাপ ফলের কারণ ও রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অধীর চৌধুরীদের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করেন কে সি বেণুগোপাল। বাংলার কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে এক এক করে তিনি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। জানা গিয়েছে, রাজ্যে কংগ্রেসের সংগঠন মজবুত করা, নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে আলোচনা হয়। জাতীয় রাজনীতিতে ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে চললেও রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূলের সঙ্গে সমীকরণ কী হবে, সেবিষয়ে প্রত্যেক প্রদেশ নেতার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন বেণুগোপাল।

সবার প্রথমে নিজের বক্তব্য জানিয়ে বেরিয়ে আসেন অধীর চৌধুরী। সাংবাদিকদের তিনি জানান, বাংলার বর্তমান পরিস্থিতির কথা তিনি জানিয়েছেন। তিনি যে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, সে কথা এদিন ফের জানান। ফলে কে হবেন পরবর্তী সভাপতি তা নিয়ে অধীর আগ্রহ রয়েছে প্রত্যেকেরই। তবে কারও নাম না নিয়ে অধীর বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নিশ্চয় প্রদেশ সভাপতি নিয়োগ করবে।’

বর্ষীয়ান প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বৈঠক থেকে বেরিয়ে বলেন, ‘বাংলার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এখান থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসা যাবে? এটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন। আর এক্ষেত্রে কংগ্রেসের প্রতি এখনও মানুষের ভরসা, বিশ্বাস রয়েছে। আমরা যদি নিজেদের তুলে ধরতে পারি, পরিস্থিতি সামলানো যাবে। সেটার দিকে আমাদের নজর দিতে হবে।’

তৃণমূলের প্রতি তাঁর কী মনোভাব সে প্রসঙ্গেও প্রবীণ প্রদেশ কংগ্রেস নেতা জানান, ‘এটা বড় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এটায় এখনই আমার পক্ষে কোনও উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে, কেউ বলতে পারে না। অপেক্ষা করতে হবে। নতুন উদ্যমে নামতেই হবে প্রদেশ কংগ্রেসকে। আর কোনও রাস্তা নেই।’

এরপরই অধীর প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব ছাড়ার পর কে হবেন পরবর্তী সভাপতি সেই প্রসঙ্গে প্রদীপ ভট্টাচার্য জানান, ‘সাংগঠনিক রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে নতুনত্ব কী আছে। অধীর পদত্যাগ করেছেন। এখন হাইকম্যান্ড সিদ্ধান্ত নেবেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × five =