মুম্বইয়ের বৈঠকে কোঅর্ডিনেশন কমিটি তৈরি হল ইন্ডিয়া জোটের। শুক্রবার সেই কমিটির ঘোষণা করা হয়েছে। ১৪ জন সদস্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই কমিটি। দেশের প্রধান বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে এই কমিটিতে। ভবিষ্যতে ইন্ডিয়া জোটের বিভিন্ন কর্মসূচি ও দৈনিক বিভিন্ন কাজকর্ম পরিচালনা করবে এই কমিটি। তবে এই কমিটিতে নেই রাহুল গান্ধি, সনিয়া গান্ধি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তৃণমূলের তরফে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন কোঅর্ডিনেশন কমিটিতে।
ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (ইন্ডিয়া) গঠিত হয়েছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে সরাতে এক জোট হয়েছে দেশের অধিকাংশ বিরোধী দল। মুম্বইয়ের বৈঠকে আসন সমঝোতা ও লোগো প্রকাশ না হলেও এই জোটের কাজকর্ম পরিচালনা ও তার দেখভালের জন্য তৈরি করা হল কোঅর্ডিনেশন কমিটি। এই কমিটিতে রয়েছেন, কংগ্রেসের থেকে কেসি বেণুগোপাল, এনসিপি থেকে শরদ পাওয়ার, ডিএমকের এমকে স্ট্যালিন, তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শিবসেনা (উদ্ধব)-এর সঞ্জয় রাউত, আরজেডি-র তেজস্বী যাদব, জেডিইউ-এর লালন সিং, আম আদামি পার্টির রাঘব চাড্ডা, জেএমএম-এর হেমন্ত সোরেন, সমাজবাদী পার্টির যাদব আলি খান, সিপিআইয়ের ডি রাজা, ন্যাশানাল কংগ্রেস ওমর আবদুল্লা, পিডিপির মেহবুবা মুফতি। এর পাশাপাশি এই তালিকায় সিপিআইএমেরও এক জন প্রতিনিধি থাকবেন। তবে তাঁর নাম এখনও জানানো হয়নি।
কোঅর্ডিনেশন কমিটিতে অনেক দলেরই প্রথম সারির নেতাদের রাখা হয়নি। যেমন রাহুল গান্ধি, সনিয়া গান্ধি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, লালু প্রসাদরা নেই এই কমিটিতে। তবে জোটের নীতিনির্ধারণের শেষ কথা বলবেন এই সমস্ত নেতারাই। এর পাশাপাশি নীতি নির্ধারণ ছাড়াও লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসবে তত বিভিন্ন কর্মসূচি নিতে হবে জোটকে। কোথায় কখন কোন কর্মসূচি নেওয়া হবে জোটের তরফে। কী ভাবে তা রূপায়িত হবে। এ সব কাজকর্ম পরিচালনা করবে এই কমিটি। পাশাপাশি আসন রফা জোটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। একটি বা দুটি বৈঠক থেকেই গোটা দেশের আসন সমঝোতা করে ফেলা সম্ভবপর নয়। তা নিয়েও ভবিষ্যতে আলোচনা করবে এই কোঅর্ডিনেশন কমিটি। পাশাপাশি সূত্রে এ খবরও মিলছে যে, ইন্ডিয়া জোটের একটি পার্টি অফিস খোলা হতে পারে। কোথায় তা অবস্থিত হবে, সেই বিষয়ও দেখবে এই নবগঠিত কমিটি।