অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস পঙ্কজ দত্তের বক্তব্য অনভিপ্রেত। সেই কারণে রক্ষাকবচ চেয়ে যে আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা তাতে সাড়া দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। অর্থাৎ,কোনওরকম রক্ষাকবচও দেওয়া হল না তাঁকে। এদিকে আদালত সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ সব পক্ষকে তাঁদের বক্তব্য হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। আগামী ১৮ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস পঙ্কজ দত্ত পতিতালয়ের কথা উল্লেখ করেছিলেন। রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা বলতে গিয়ে তুলনা করেছিলেন পতিতালয়ের সঙ্গে। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এরপরই অব্যাহতি পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পঙ্কজ দত্ত। বৃহস্পতিবার ছিল সেই মামলার শুনানি। এদিন আদালতে পতিতালয়ের কথা কীভাবে উদাহরণ হিসেবে নিজের বক্তব্যে তুলে ধরলেন, সেই প্রশ্ন করেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ প্রাক্তন পুলিশ কর্তাকে এ প্রশ্নও করেন, এটা কী করে বললেন তিনি তা নিয়েও। কারণ আদালতের পর্যবেক্ষণ এটা কোনও উদাহরণ হতে পারে না। আর এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি ভরদ্বাজ এ প্রশ্নও করেন, ‘আমি, আপনি যে যেখানে থাকি, সেই জায়গাগুলো কি নিরাপদ? বলতে পারবেন? তাহলে হঠাৎ ওই জায়গাকে উদাহরণ হিসেবে মনে হল কেন? এর থেকে অসম্মান করার জন্য আর কি লাগবে?’ এরই পাশাপাশি বিচারপতির বক্তব্য, যেখানে অসহায় মহিলারা থাকেন, সেই জায়গা উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা উচিত হয়নি। পঙ্কজ দত্তের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিচারপতি ভরদ্বাজ আরও বলেন, কী ভেবে বলা হয়েছে, সেটা বড় কথা নয়, যে ভাবে বলা হয়েছে, সেটাই যথেষ্ট ওই মহিলাদের অসম্মান করার জন্য। এর আগেও শুনানিতে বিচারপতি বলেছিলেন, কী বলতে চাওয়া হয়েছে, এ ক্ষেত্রে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। ঠিক কী বলা হয়েছে বক্তব্যে তা লিখিত আকারে জানতে চাওয়া হয়েছিল।