ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় আজীবন সশ্রম কারাদণ্ডের শাস্তি আদালতের

বাবাকে খাবার দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল নাবালিকাকে। শুধু তাই নয়, তাঁকে খুন পর্যন্ত করা হয়। সেই ঘটনায় এক আসামীকে আজীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত।

ঘটনাটি ঘটে ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানা এলাকায়। বছর তেরোর এক নাবালিকা তার বাবাকে মাঠে খাবার দিতে গিয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, পথে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ ও পরে খুন করা হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ঘটনার পরের দিন মেয়েটির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় সর্ষের ক্ষেত থেকে।এরপর রানিনগর থানার পুলিশ দেহ ময়না তদন্তে পাঠায়। মৃত নাবালিকার বাবা রানিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে দু’জন অভিযুক্তর বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় তাদের জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা হোমে রয়েছে। ওই দুই নাবালকের মামলার ট্রায়াল হয়নি।তবে আরও এক অভিযুক্ত যার ঘটনার সময় তার বয়স ছিল ১৯ বছর, বর্তমানে ২৩, তার বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। ২৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা খুনের ঘটনা, ২০১ ধারা প্রমাণ লোপাট, ৩৭৬-ডি ধারা গণধর্ষণ, ৬ নম্বর পক্স আইনে নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার অভিযুক্ত কে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আসামীকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বুধবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক দীপ্ত ঘোষ আজীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 13 =