সুপার নিউমেরারির পদে নিয়োগ নিয়ে কমিশনের ব্যাখ্যা তলব আদালতের

সুপার নিউমেরারি পদে নিয়োগ নিয়ে ফের কমিশনের ব্যাখ্যা চাইল আদালত। একইসঙ্গে নির্দেশ, মোট ১৬০০ নিয়োগের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের কোনও মামলা যে যুক্ত নয় তা এবার হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে কমিশনকে। এই জবাব পাওয়ার পর সন্তুষ্ট হলে তবেই আদালত সিদ্ধান্ত নেবে সুপার নিউমেরারি পদে রাজ্য আদৌ নিয়োগ করতে পারবে কি না। তবে মঙ্গলবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এও জানান,‘আমরা সবাই নিয়োগের পক্ষে।’

এদিকে মঙ্গলবার আদালতে এজি কিশোর দত্ত বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে পেন্ডিং আছে অন্য মামলা। সুপার নিউমেরারি পদে রাজ্যের লক্ষ্য একটাই, মেধায় কোনও আপস নয়। যেখানে কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষার পোস্ট আছে সেই সব স্কুলেই নেওয়া হবে। ২০১৬ সালের ওয়েটিং লিস্ট থেকেই নেওয়া হবে। অন্তর্বর্তী নির্দেশ চাওয়া হচ্ছে এদের নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হোক। ১৬০০ পোস্ট করা হয়েছে। ৭৫০ কর্মশিক্ষার জন্য, বাকি শারীরশিক্ষার।’ এদিন শুনানির সময় মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘স্কুল সার্ভিস কমিশন স্বীকার করেছিল বেআইনি নিয়োগ রেখে দিতেই এই সুপার নিউমেরারি পোস্ট করা হয়। ডিভিশন বেঞ্চেও তারা এই একই কথা জানায়। পরে একক বেঞ্চে এই শব্দ তারা প্রত্যাহার করে।’

যদিও স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে আইনজীবী সুতনু পাত্র জানান, ‘এটা সত্যি নয়। সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে এই পোস্ট তৈরি হয়।’ সবপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি বসু প্রশ্ন করেন, রাজ্য কি এই পোস্ট তৈরি করতে পারে? কারা এই পদ পাওয়ার যোগ্য? বিচারপতি একইসঙ্গে বলেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে এই ১৬০০ জনের নিয়োগের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের কোনও মামলা জড়িত নেই। আদালতও নিয়োগের পক্ষে, বলেন বিচারপতি। আগামী ২৮ তারিখ ফের এই মামলার শুনানি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 17 =