আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআইয়ের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ আদালত

ফের জেল হেফাজতে আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার সঞ্জয় রায়। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সঞ্জয় রায়কে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। তবে, এদিন সিবিআইয়ের ভূমিকায় তীব্র উষ্মা প্রকাশ করেন শিয়ালদহ এসিজেএম। এদিন ভার্চুয়াল শুনানি শুরু হয় বিকেল ৪.১০ মিনিটে। শুরুতেই সঞ্জয়ের তরফে আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। এদিন শুনানিতে একাধিক যুক্তি পেশ করে, ধৃতের জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী কবিতা সরকার। ধৃতের আইনজীবী কবিতা সরকার এদিন আদালতে দাবি করেছেন, ধৃত ব্যক্তি এই ঘটনায় যুক্ত নয়। উচ্চ আদালতেও ওই অভিযুক্তের কোনও জামিন মামলা আটকে নেই। এছাড়া তিনি কলকাতার স্থায়ী বাসিন্দা, কোনও বহিরাগত নন। এই যুক্তিতে অভিযুক্তকে জামিন দেওয়ার আর্জি জানান তিনি। এদিন আইনজীবী কবিতা সরকার ধৃতের জামিনের আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই। তাই জামিন চাইছি।’ এরপরই সিবিআইয়ের আইনজীবী ও তদন্তকারী অফিসারের খোঁজ করেন বিচারক। কিন্তু অ্যাসিস্ট্যান্ট আইও আদালতে থাকলেও সিবিআইয়ের আইনজীবী সে সময় উপস্থিত ছিলেন না। এরপরই বিচারক পামেলা গুপ্তা সিবিআইয়ের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, ‘আপনাদের আইনজীবী কোথায়?’ সিবিআই অফিসার উত্তর দেন, ‘আসছেন।’ বিচারক পাল্টা বলেন, ‘ফোন করুন।’ এরপরই সিবিআই অফিসার কোর্ট রুমের বাইরে চলে যান। একটু পরে ফিরে আসেন। জানান, পিপি আসছেন। রাস্তায় আছেন।

শুনেই উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারক। বলেন, ‘সাড়ে চারটে বেজে গেছে, এখনও আসছে! তাহলে কি এই কেসে বেল দিয়ে দেব? সিবিআইয়ের তরফে এটা চরম গড়িমসি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ১০ মিনিট সময় দিচ্ছি ডেকে আনুন।’ এর কিছুক্ষণ পরে আসেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।

এরপর শুনানি শেষে সঞ্জয় রায়কে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve + four =