সন্দেশখালি ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ আদালতের

সন্দেশখালির ঘটনায় মঙ্গলবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার এই মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার রায়দান করে কলকাতা হাইকোর্ট। ৮ ও ৯ নম্বর মামলার তদন্তে সিবিআই ও রাজ্যের আইপিএস পদমর্যাদার আধিকারিকদের নিয়ে এদিন সিট গঠন করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সঙ্গে এও জানানো হয়, হাইকোর্টের নজরদারিতে এই তদন্ত চলবে। প্রয়োজনে সিট কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের সবরকম সহযোগিতা নেবে। দরকারে তারা নিজেদের নিচু তলার অফিসার নিয়োগ করতে পারবে। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, বর্তমানে ইসলামপুরে কর্মরত রয়েছেন আইপিএস যশপ্রীত সিং। তাঁকে রাজ্য এই টিমের জন্য নিয়োগ করেছে। এদিকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে সিবিআইকে তাদের অফিসার নিয়োগ করতে হবে। সিট গঠনের পাশাপাশি বিচারপতি সেনগুপ্ত এদিন এও জানান, যদি সদর্থক ফলাফল না পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে আদালত এই টিমকে বদল করার আগে দ্বিধা বোধ করবে না। পাশাপাশি আদালত এদিন আরও স্পষ্ট করে যে হাইকোর্টের রিপোর্ট ছাড়া চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া যাবে না। ন্যাজাট থানা বা বর্তমান আইও এই তদন্তে কোনওভাবেই যুক্ত থাকতে পারবে না।

এদিকে এদিন শুনানি চলাকালীন সিবিআই-এর আইনজীবী শেখ শাহজাহানের সঙ্গে ওসামা বিন লাদেনের তুলনা টানেন। সিবিআই-এর দাবি, ওসামা বিন লাদেনের কায়দাতেই শেখ শাহজাহানও নিজের অনুগামীদের অডিও বার্তা পাঠান, যাতে সহজেই অল্প সময়ের মধ্যে একসঙ্গে বেশি মানুষকে জড়ো করা যায়। এদিকে আদালত সূত্রে খবর, মামলাটির পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে ১২ ফেব্রুয়ারি। সংশ্লিষ্ট দিনে সিট-কে এই মামলার তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

এদিকে বুধবার রেশন দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত নিখোঁজ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে বসানো হল সিসিটিভি ক্যামেরা। হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। সূত্রে খবর, মোট তিনটি সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। মঙ্গলবারই তদন্তে গড়িমসির জন্য রাজ্য পুলিশকে তিরস্কার করে কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরই রাজ্য পুলিশের এই তৎপরতা।

এদিকে বেপাত্তা সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার না করতে পারা বা তাঁর কোনও সন্ধান না পাওয়ায় মঙ্গলবার হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় রাজ্য পুলিশকে। এরপরই বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত শাহজাহানের বাড়ির সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দেন। আর আদালত কড়া হতেই বুধবারই বসে এই সিসিটিভি। বুধবার নজরে আসে শাহজাহানের বাড়ির সামনে অর্থাৎ আকুঞ্জি পাড়ার মোড়ে বসেছে সিসি ক্যামেরা। এমনকী তাঁর বাড়ির লাগোয়া গ্যারাজে একটি বসানো হয় মনিটর। এড়াছাও শাহজাহানের বাড়ির বাইরে ও পিছনেও বসানো হয়েছে ক্যামেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 11 =