২০১৭ ও ২০২২-দুটি টেট নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছিল তাতে এবার তিন সদস্যের এক্সপার্ট কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ এও নির্দেশ দিয়েছে যে, আগামী ১৪ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে ওই কমিটিকে। সেই কমিটিতে থাকবেন প্রাথমিক বোর্ডের এক জন সদস্য, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রতিনিধি ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রতিনিধি।
এদিকে ২০২২ সালে প্রায় ২৪ টি প্রশ্ন এবং ২০১৭ সালে প্রায় ১২টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে দাবি করেছেন মামলাকারীরা। আদাল নির্দেশ দিয়েছে, প্রশ্নগুলি খতিয়ে দেখবে এই বিশেষ কমিটি। প্রশ্নগুলো আদৌ ভুল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।এখানে বলে রাখা শ্রেয়, যদি ওই প্রশ্ন ভুল বলে প্রমাণিত হয়, তার জন্য নম্বর বাড়ালে উত্তীর্ণ হতে পারেন কয়েক লক্ষ পরীক্ষার্থী।
এর আগে এই মামলায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০২২ সালের টেটে ২৪টি প্রশ্ন ভুলের মামলায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রশ্ন খতিয়ে দেখতে হবে। এছাড়া ২০১৭ সালের মামলায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষ কমিটি গড়ে প্রশ্ন খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। দুটি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
২০১৭ সালে প্রাথমিকের টেট মামলায় বাংলা, পরিবেশ বিজ্ঞান-সহ তিন বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগ ওঠে। তার ভিত্তিতেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। মামলাকারীদের দাবি, প্রশ্ন যদি ভুলই থাকে, সে ক্ষেত্রে যাঁরা সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই নম্বর দিতে হবে।