এক শিক্ষকের বদলি নিয়ে এক বছর আগে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশের এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে এত বিলম্ব এবং গাফিলতি দেখে স্কুল কর্তৃপক্ষের ওপরে ক্ষুব্ধ হতে দেখা গেল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। এরপরই বুধবার ওই স্কুলের প্রেসিডেন্টকেই সরানোর নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি ওই শিক্ষকের বদলির অনুমতি দিয়ে সাত দিনের মধ্যে ডিআই-কে নথি পাঠাতে নির্দেশ দেন।
দার্জিলিং জেলার খড়িবাড়ি ব্লকে রয়েছে বাতালি শাস্ত্রীজি হাইস্কুল। ওই স্কুলে বাংলার শিক্ষক রামপ্রসাদ মণ্ডল। এক বছরের বেশি সময় আগে তিনি বদলির আবেদন করেছিলেন। উৎশ্রীতে আবেদন করার পরও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ বলে অভিযোগ করেন রামপ্রসাদবাবু। সঙ্গে এও জানান, কোনও কারণ ছাড়াই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি বদলির আবেদন বাতিল করে দিচ্ছিল। বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই শিক্ষক। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছর মার্চ মাসে নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু এখনও তা করা হয়নি বলে অভিযোগ।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাও এদিন উপস্থিত ছিলেন আদালতে। স্কুলের তরফে আইনজীবী বিক্রমাদিত্য ঘোষ জানান, টেকনিক্যাল সমস্যায় বদলির আবেদন প্রসেস করা হয়নি। ওই স্কুলের প্রেসিডেন্টও এক জন আইনজীবী। আদালতের নির্দেশ দেখার পরও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। এরপরই তিনি স্কুল প্রেসিডেন্টকে অযোগ্য বলেও চিহ্নিত করেন এবং তাঁকে সরাতে ডিআই-কে নির্দেশ দেন। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এও বলেন, ‘অযোগ্য প্রেসিডেন্টের পদে থাকার অধিকার নেই।’