২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে চলতি শিক্ষাবর্ষে ওই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সুযোগ দিতে হবে। তাঁরা ভর্তি হতে পারবেন ডিএলএড কোর্সে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বনাম প্রশিক্ষণহীন এই নিয়ে টেট উত্তীর্ণদের মধ্যেই যে একটা বৈষম্যের অভিযোগ উঠছিল তারই প্রেক্ষিতে মামলা হয়। সেই মামলার শুনানির পরই এমনাটই নির্দেশ দেন বিচারপতি।
২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে প্রাথমিকের দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়। ২০১৬ সালের ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনেকেরই ডিএলএড কোর্স করা ছিল না। তবে তাঁরা চাকরি পান। যদিও পরে শিক্ষকতার ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা হিসাবে ডিএলএড প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হয়। জাতীয় শিক্ষক শিক্ষণ পর্ষদ (এনসিটিই) সেই নির্দেশ দেয়। সেই নিয়ম অনুসারে প্রশিক্ষণ না নিয়ে চাকরি পেয়েছেন এমন শিক্ষকদের চাকরি পাওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিতেই হবে।
আর এখানেই তৈরি হয় সমস্যা। এতদিন কেটে গেলেও প্রশিক্ষণ নিয়ে পর্ষদ আগ্রহ দেখায়নি। অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। রাজ্যে কয়েক হাজার এমন প্রশিক্ষণহীন শিক্ষক রয়েছেন বলে মামলায় দাবি করা হয়। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সিনহা জানান, প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের অনুমতি দিতে হবে পর্ষদকে।