পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু করে ফল প্রকাশ পর্যন্ত রাজ্যের একাধিক জায়গায় সন্ত্রাসের ছবি নজরে এসেছে। এবার বোর্ড গঠনের সময় এগিয়ে আসতেই ফের নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বিরোধী শিবিরের জয়ী প্রার্থীরা। বোর্ড গঠনের সময় যাতে তাঁরা না থাকতে পারেন,সেই পরিকল্পনা শাসকদলের তরফ থেকে করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে বিরোধী শিবির থেকে। এই ঘটনায় মামলাও হয় কলকাতা হাইকোর্টে। এরপরই মঙ্গলবার আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ,৯ বিজয়ী প্রার্থীকে নিরাপত্তা দিতে হবে রাজ্য পুলিশকেই।
এরপরই মথুরাপুর, মুর্শিদাবাদ ও রায়দিঘীর বিরোধী দলের বিজয়ী প্রার্থীদের পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১০ অগাস্ট বোর্ড গঠন হবে মথুরাপুর পঞ্চায়েতে। এমনকী মুর্শিদাবাদের তেনকরাইপুর বালুমতি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫ জন প্রার্থী ও ওই জেলার হেরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএমের ১২ জন জয়ী প্রার্থীকেও নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সিপিএমের জয়ী প্রার্থীকে নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি অপহরণের অভিযোগের তদন্ত দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশকে। ওই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হবে ১১ অগস্ট। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘীর কাশিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭ জন জয়ী বিরোধী প্রার্থীকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে নন্দীগ্রামেও। বোর্ড গঠনের দিন এগোতেই বিজয়ী প্রার্থীদের এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মামলাকারীদের বক্তব্য,নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকের ১৭ টি পঞ্চায়েতের বিজয়ী প্রার্থীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে।