প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাট কাকুর ভয়েস স্যাম্পল রিপোর্ট নিয়ে এবার ফের প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। একইসঙ্গে জানতে চাওয়া হল লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের টাকার সোর্সও।
এদিকে আদালত সূত্রে খবর, এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘ প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় ডিভিশন বেঞ্চে কি বিচারাধীন রয়েছে?’ এই প্রসঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে জানান, ‘প্যানেল প্রকাশের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন।’ যদিও এতে তদন্তে কোনও সমস্যা নেই বলেই জানানো হয়। আদালত সূত্রে এও খবর, বুধবার বিচারপতি তদন্তকারীদের প্রশ্ন করেন, তাঁরা টাকার সোর্স সম্পর্কে জানতে পেরেছেন কি না। উত্তরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর তরফ থেকে জানানো হয়,’ প্রতিটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে। অনেক অ্যাটাচমেন্ট করা হয়েছে। সিবিআই অনেক গুরুত্বপূর্ণ নাম পেয়েছে।’ এরপরেই বিচারপতির প্রশ্ন, ‘তদন্ত দ্রুত শেষ হবে কি না তা নিয়েই। CBI-এর পক্ষ থেকে এদিন বলা হয়, ‘স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতির তদন্ত দিয়ে এই মামলা শুরু হয়। এরপর পুরসভা, রেশন প্রসঙ্গও আসে।’ এদিন ফের সিবিআই-এর আইনজীবীর কণ্ঠে ‘প্যান্ডোরা বক্স’ প্রসঙ্গও উঠে আসে।
এদিকে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর পরীক্ষার রিপোর্ট প্রসঙ্গ এদিন উঠে আসে বিচারপতির কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘শেষবার আপনাদের অ্যাটাচমেন্টের কিছু ছিল না। আদালত বলার পর করেছিলেন। ভয়েস স্যাম্পলের রিপোর্ট কী হল?’ দু’মাস সময় পার হয়ে গিয়েছে, তাও বলেন বিচারপতি। সিএফএসএল- এর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। বিচারপতির এই দিনের পর্যবেক্ষণ, ‘এই বিষয়গুলি খুব দরকার যদি কিছু করতে চান। নাহলে স্যাম্পল নিয়ে কী লাভ?’ সিবিআই-এর তরফে বলা হয়, ‘পরের দিন এই বিষয়ে তারা আদালতে তথ্য দেবে।’
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নামে সিবিআই। তদন্তে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নয়, গ্রেফতার করা হয় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। এরপর একাধিক নাম উঠে আসে। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে উঠে আসে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম। তদন্তে নেমে তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এরপর মাঝে অবশ্য তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এদিকে তদন্তকারীরা তাঁর ভয়েস স্যাম্পেল টেস্টের অনুমতি পায় আদালতের তরফে। এরপর গত জানুয়ারি মাসের প্রথমের দিকে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করার জন্য। সেই পরীক্ষা হলেও এখনও পর্যন্ত রিপোর্ট সামনে আসেনি।