মুখ্যসচিব অনুমতি না দিলে যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে জানাল আদালত

প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী  পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যদের জামিন মামলায় সরকারি আধিকারিকদের সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে মুখ্যসচিবের অনুমোদন প্রয়োজন। কিন্তু সে ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। সেই কারণে এই প্রসঙ্গে রাজ্য় সরকারের বক্তব্য দাবি জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহার ডিভিশন বেঞ্চ এও জানিয়ে দিয়েছে, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকাকে এ বিষয় উত্তর দিতে হবে। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, মুখ্যসচিবের উত্তরের জন্য জামিন মামলা আটকে থাকবে না। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, আগামী ১১ জুলাই থেকে রোজ  জামিন মামলা শোনা হবে।

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুনীর্তি মামলায় নেতামন্ত্রী ছাড়া একাধিক সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন জেলবন্দি। কিন্তু মুখ্যসচিবের অনুমতি ছাড়া তাঁদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না। কিন্তু অনুমতি দিতে দেরি হওয়ার জন্য মুখ্যসচিবকে প্রথমে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়। তাতেও তিনি হাজির না হওয়ায় তাঁকে আদালত সশরীরে হাজির হওয়ার কথা বলা হয়। এরপর গত মে মাসের শুনানিতে আদালতে বড় প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই। কারণ, সরকারি আধিকারিকদের মধ্যে অন্তত দুজনের নিয়োগকর্তা রাজ্যপাল। তাহলে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমতি রাজ্যের মুখ্যসচিব কীভাবে দেবেন এই ইস্যুতেই।

এই প্রসঙ্গে বুধবারের শুনানির সময়ে  সিবিআই-এর আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী জানান, ‘রাজ্যপাল ইতিমধ্যেই অনুমোদন দিয়েছেন। মুখ্য সচিবের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।’ এদিকে মামালকারীদের আইনজীবী সওয়াল করতে গিয়ে জানান, জামিন মামলায় অনুমোদন দরকার বলে সিবিআই সময় নষ্ট করছে। আর জামিনের জন্য রয়েছে এক বছরের বেশি সময় জেলে থাকতে বাধ্য হচ্ছে অভিযুক্তরা। এরই প্রেক্ষিতে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘৭ মে উত্তর চাওয়া হয়েছিল। এখন জুলাই মাস। এখনও উত্তর মেলেনি। আমরা দ্রুত উত্তর চাই ওঁর কাছে। এর পর আর কোন অজুহাত শোনা হবে না। এর পর যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।’ এদিকে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, আইনজীবীরা চাইলে জামিন মামলা শুরু হতে পারে। মুখ্যসচিবের অনুমোদনের জন্য জামিন মামলা আটকে থাকবে না। শুধু তাই নয়, এদিন সিবিআইকে-ও তৈরি থাকার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − 4 =