কসবা ল কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি তুললেন খোদ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। একইসঙ্গে তিনি এও জানান, দোষীদের মেরে পিঠের চামড়া গুটিয়ে দেওয়া উচিত। এর পাশাপাশি গণধর্ষণের ঘটনায় বিরোধীরা রাজনীতি করলে পাল্টা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিতে দেখা যায় তাঁকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘কসবার ধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এসব জানোয়ারকে মেরে পিঠের চামড়া গুটিয়ে দেওয়া উচিত। পুলিশ এদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করুক। সিপিএম জমানায় এসব বহু হয়েছে, বা বিজেপির রাজ্যে এসব হয় বলে আমরা কোনো অন্যায় বরদাস্ত করতে রাজি নই। বিরোধীদের এসব নিয়ে বলার নৈতিক অধিকার নেই। ওরা এসব পাপে ডুবে। কিন্তু আমাদের চূড়ান্ত সতর্কতা দরকার। এইসব ছেলে কখন কোন সময় কিছুকালের জন্য দলের কাছাকাছি এসে তারপর নিজেদের মত চলবে, সমাজটাকে কলঙ্কিত করবে, এতে সকলের সতর্কতা দরকার। তৃণমূল কংগ্রেস এইসব বাঁদরামি বরদাস্ত করবে না। যে মেয়েটির সঙ্গে এসব হয়েছে, তার ও তার পরিবারের কাছে এক নাগরিক হিসেবে দুঃখপ্রকাশ করছি। তবে বিরোধীরা এনিয়ে রাজনীতি করতে এলে সমুচিত জবাব পাবে।‘
অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যায় কলেজের ইউনিয়ন রুমের পাশের একটি একটি ঘরে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ছিল মনোজিৎ। বাকি দুই অভিযুক্তের নাম জায়েব আহমেদ এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে প্রাক্তনী হলেও কলেজে নিয়মিত যাতায়াত ছিল এই মনোজিতের। সে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা। ল কলেজের পরিচালন কমিটির সুপারিশে তাকে প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী স্টাফ হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। মনোজিতের ফেসবুক প্রোফাইলে লেখা রয়েছে, ‘সাংগঠনিক সম্পাদক, দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।‘ কলেজের টিএমসিপি ইউনিটের প্রাক্তন ‘প্রেসিডেন্ট‘ পদেরও উল্লেখ রয়েছে। যদিও মনোজিতের দলে কোনও পদ আছে কিনা, তাই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
কসবার ঘটনায় রাজ্যে আবারও শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি–সহ বিরোধী দলগুলি এনিয়ে সোচ্চার হয়েছে। আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যদিও এই ঘটনায় বিরোধীদের রাজনীতি করা উচিত নয় বলেই জানিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন কুণাল ঘোষ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘কসবার ধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এসব জানোয়ারকে মেরে পিঠের চামড়া গুটিয়ে দেওয়া উচিত। পুলিশ এদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করুক। সিপিএম জমানায় এসব বহু হয়েছে, বা বিজেপির রাজ্যে এসব হয় বলে আমরা কোনো অন্যায় বরদাস্ত করতে রাজি নই। বিরোধীদের এসব নিয়ে বলার নৈতিক অধিকার নেই। ওরা এসব পাপে ডুবে। কিন্তু আমাদের চূড়ান্ত সতর্কতা দরকার। এইসব ছেলে কখন কোন সময় কিছুকালের জন্য দলের কাছাকাছি এসে তারপর নিজেদের মত চলবে, সমাজটাকে কলঙ্কিত করবে, এতে সকলের সতর্কতা দরকার। তৃণমূল কংগ্রেস এইসব বাঁদরামি বরদাস্ত করবে না। যে মেয়েটির সঙ্গে এসব হয়েছে, তার ও তার পরিবারের কাছে এক নাগরিক হিসেবে দুঃখপ্রকাশ করছি। তবে বিরোধীরা এনিয়ে রাজনীতি করতে এলে সমুচিত জবাব পাবে।‘