ওয়ানাডে দীর্ঘ হয়েই চলেছে মৃত্যুমিছিল। ভূমিধসে কেরলের ওয়েনাডে মৃতের সংখ্যা ১৪৩ পার করল বলেই জানা যাচ্ছে সূত্রে। এখনও শতাধিক মানুষ কাদা, মাটির নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন বলেই আশঙ্কা। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। এই ভূমি ধসের ঘটনায় নিয়মিত খোঁজ রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। বুধবার ওয়েনাড যাওয়ার কথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধির।
সবুজে ঘেরা ওয়েনাডে মঙ্গলবার ভোরে ভয়াবহ ধস নামে। অতিবৃষ্টির জেরে কার্যত পাহাড় ভেঙে নেমে আসে। কাদা-মাটি-জলে ডুবে গিয়েছে মুন্দাক্কাই, চুরামালা, আতামালা ও নুলপুজ়া জেলা। এই চার জেলার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। জলের তোড়ে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে মাইলের পর মাইল।
মঙ্গলবার বিপর্যয়ের পর থেকেই উদ্ধারকাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উদ্ধারকাজে সাহায্যের জন্য ভারতীয় সেনাও নামানো হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, বিপর্যয়ে কমপক্ষে ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত প্রায় ১২৮ জন। বিপদ এখনও কাটেনি। ধ্বংসস্তূপ, মাটির নিচে শতাধিক মানুষের চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভূমিধসে ভেঙে গিয়েছে সেতুও। সেনাবাহিনীর তরফে অস্থায়ী সেতু তৈরি করে কমপক্ষে ১ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেই জানানো হয়েছে। আজও সকাল থেকেই উদ্ধারকাজ চলছে।
এদিকে বিপদের সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী কয়েকদিন ওয়েনাড সহ একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে ইদুক্কি, ত্রিশূর, পালাক্কড়, মলপ্পুরম, কোঝিকোড, কন্নুর ও কাসারগড় জেলার জন্য। কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে আলাপুজ়া, কোট্টায়াম ও এরনাকুলাম জেলায়।
মঙ্গলবারই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যাবতীয় সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে দায়িত্ব দিয়েছেন উদ্ধারকাজে সাহায্যের জন্য। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েঠে।
রাজ্যের তরফে দুটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। এগুলি হল 9656938689 এবং 8086010833।