তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে দলের ভিতরের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে তৈরি হয় নানা জল্পনা। সৌজন্যে সুব্রত বক্সি এবং কুণাল ঘোষের মন্তব্য এবং পাল্টা মন্তব্য। এখানেই সেষ নয়, এরপর সোমবার সন্ধেয় কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সাক্ষাতের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও এর ঠিক চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই অবশ্য তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মুখে বারবার শোনা গেল ঐক্যের বার্তা। এমন কি, সুব্রত বক্সিকে দলের সিনিয়র নেতা বলেও সম্বোধন করতেও দেখা গেল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। সঙ্গে এও জানিয়ে দিলেন, দলের সিনিয়র নেতারা ভোটে দাঁড়ালে এক হয়ে লড়াই করবে গোটা তৃণমূল কংগ্রেসই। প্রসঙ্গত, এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, ‘সিনিয়র নেতাদের পুরোদস্তুর ভূমিকা আছে। পরিবারে যেমন হয়। নিশ্চিত ভাবে সংগঠনে থাকবেন। এই পরিবারে শেষ কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেনাপতি হলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। সঙ্গে রয়েছেন সুব্রত বক্সির মতো সিনিয়র নেতারাও। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫টা প্রজন্ম তৈরি করে দিয়েছেন।’
এরই পাশাপাশি বিরোধীদেরও একহাত নিতে দেখা যায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র জানান, ‘আমার সবথেকে মজা লাগছে তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ে বিরোধী দলগুলো এত ব্যস্ত দেখে৷ তৃণমূলে দ্বন্দ্ব নেই, গণতন্ত্র আাছে৷ আমাদের দল একসাথে আছে। ইস্যুভিত্তিক মতপার্থক্য দেখা গেলেও, ভোটের সময় আরও সুসংহত। আর তৃণমূলের থেকে এই সমস্যা বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমে অনেক বেশি৷’
শুধু কুণালই নন, এদিন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তাপস রায়, ফিরহাদ হাকিমদের মুখেও শোনা যায় ঐক্যের বার্তা। তাপস রায় বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের দলের শেষ কথা৷ অভিষেক নেতৃত্বে ছিল, আছে, থাকবে।’ দলের আর এক প্রবীণ নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘দ্বন্দ্ব সব দলে ছিল, আছে, থাকবে৷ দ্বন্দ্ব নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। কোনও লড়াই নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমাদের নেত্রী হিসেবে চাই, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সঙ্গে চাই।’ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও জানান, কোথাও কোনও সমস্যা নেই।