তৃতীয় পক্ষের সম্মতির পরই সিদ্ধান্ত চিংড়িঘাটা উড়াল পুল নিয়ে

চিংড়িহাটা উড়ালপুল পরিদর্শন করে অবিলম্বে তা বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছিল রাজ্যের সেতু পরামর্শদাতা কমিটি। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে এই উড়ালপুলটি ভাঙতে হতে পারে, এমনও বলেছিলেন তাঁরা। কারণ, বাম আমলে তৈরি ফ্লাইওভারের নকশায় ‘ত্রুটি’ প্রসঙ্গও উঠে আসে বিশেষজ্ঞদের একাংশের কণ্ঠে। এরপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে চিংড়িহাটা মোড় থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত এই ৬০০ মিটারের উড়ালপুল কি বন্ধ হতে চলেছে কি না তা নিয়ে। শুধু তাই নয়,  সেক্ষেত্রে বিকল্প ট্রাফিক রুটই বা কী হবে তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

এদিকে এই  চর্চার মধ্যেই সামনে আসছে নয়া তথ্য। জানা গিয়েছে, এই উড়ালপুলের স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে আরও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিতে চলেছে সরকার। তাঁদের মধ্যে থাকতে পারেন আইআইটি খড়গপুর এবং যাদবপুরের বিশেষজ্ঞরা। এদিকে সরকারি সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে, হয়তো ‘থার্ড পার্টি’ বা তৃতীয় কোনও পক্ষকে দিয়ে এই উড়ালপুলটির সরেজমিনে তদন্ত করা হতে পারে। কোনওভাবে সাব স্ট্রাকচারকে শক্ত করে সুপারস্ট্রাকচার অপরিবর্তিত রাখা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। সেক্ষেত্রে পুরো উড়ালপুলটিই ভেঙে ফেলতে হবে কিনা, খতিয়ে দেখা হবে সেই বিষয়টিও।

এদিকে চিংড়িহাটা উড়ালপুল বন্ধ হবে কিনা এবং হলেও তা কবে থেকে হবে, সেই বিষয়গুলি এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। এদিকে সূত্রে খবর মিলছে, কেএমডি-এর কর্তারা ইতিমধ্যেই কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। এক আধিকারিকের কথায়, ‘বিষয়টি কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের কাছে জানানো হয়েছে। বিকল্প কোন রুট ব্যবহার করা যায় সেই বিষয়টিও ভেবে দেখা হচ্ছে। সবার আগে মানুষের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।’

এই প্রসঙ্গে কেএমডিএ-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ‘সকালের দিকে এই ফ্লাইওভার অত্যন্ত ব্যস্ত থাকে। সেখানে সকালে ঘণ্টায় প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার ছোট গাড়ি যায়। যদি এই উড়ালপুল বন্ধ করতে হয় সেক্ষেত্রে সমস্ত যানকে সল্ট লেক বাইপাসেক দিকে ঘুরিয়ে দিতে হবে যা বেলেঘাটা ক্রসিং হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ক্যানাল রোড এবং বেলেঘাটা মেন রোডের উপর অনেকটাই নির্ভর করতে হবে।’ এদিকে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, যদি বিকল্প রুট চালু করতে হয় সেক্ষেত্রে তার আগে নির্ধারিত ট্রায়াল হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − four =