নিউটাউনে উদ্ধার বছর তিরিশের মহিলার পচাগলা দেহ

নিউটাউনে উদ্ধার বছর তিরিশের এক মহিলার পচা গলা দেহ।  জ্যোতিনগরে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিকে এই অঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরে পচা গন্ধ পেতে থাকেন তাঁরা। এরপর এই দুর্গন্ধের প্রাবল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় খবর দেওয়া হয় নিউটাউন থানায়। এরপর পুলিশ এসে এই গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে এক মহিলার গলিত দেহ উদ্ধার করেন। এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে ওই মহিলা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য মেলে। পুলিশ জানিয়েছে,বছর তিরিশের ওই মহিলার নাম পম্পা দাস। উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাটের বাসিন্দা। একসঙ্গে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কারণ,মহিলার মৃত্যু নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। পাশাপাশি ফরেনসিক টিম এসে ঘরের বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পম্পা একাই থাকতেন ওই ভাড়া বাড়িতে। স্থানীয়দের অনেকেই জানিয়েছেন, এই মহিলা কাউকেই তেমনভাবে চিনতেন না। তাঁর পেশা বা কাজকর্ম নিয়েও কারও কাছে নিশ্চিত কোনও তথ্য নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত তিন দিন ধরে ওই মহিলাকে বাইরে দেখা যায়নি। কারও সঙ্গে কথা বলেননি, বাজার বা রাস্তাতেও দেখা যায়নি তাঁকে। কেউ কেউ ভেবেছিলেন, হয়তো অসুস্থ। এদিকে কয়েক দিন ধরেই বাড়ি থেকে তীব্র দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। কেউ কেউ প্রথমে বিষয়টিকে পাত্তা দেননি। তবে গন্ধের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সন্দেহ হয়। তখনই আশপাশের বাসিন্দারা মিলে বিষয়টি নিউটাউন থানায় জানান। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখে, এক মহিলার পচাগলা মৃতদেহ ঝুলছে ঘরের মধ্যে। দেহের অবস্থা দেখে স্পষ্ট, বেশ কয়েক দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে।
এই মৃত্যু কীভাবে ঘটল, তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পুলিশের একাংশের অনুমান, এটি আত্মহত্যা হতে পারে। তবে দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় থাকলেও, খুনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে, একজন একাকী মহিলার ঘর থেকে এভাবে দেহ উদ্ধার হওয়া স্বাভাবিক সন্দেহের তালিকায় খুনকেও রাখছে পুলিশ।  পুলিশ ইতিমধ্যেই পম্পা দাসের বাড়িতে খবর পাঠিয়েছে। তবে তদন্তকারীরা এও জানান, ঘটনাস্থলে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। ঘটনার পর পুলিশ ওই ঘরটি সিল করে দেয়। পম্পা দাসের ফোন, নথিপত্র এবং ঘরের বিভিন্ন জিনিস খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি কেন একা থাকতেন, কী কাজ করতেন এবং কারও সঙ্গে কোনও শত্রুতা ছিল কি না এই সব প্রশ্নের উত্তর খঁোজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + thirteen =