আমাদের জীবনের সঙ্গে নুন ওতোপ্রতো ভাবে জড়িয়ে। নুন ছাড়া যেমন রান্না ভাবাই যায় না, ঠিক তেমনই আাদের শরীরের জন্যও খুবই প্রয়োজন নুনের। তবে অতিরিক্ত কখনোই নয়। সাধারণত আমরা যে নুন ব্যবহার করি তা সাদা রঙের। এই সাদা রংয়ের আয়োডাইজড নুন বেশিরভাগ রান্নাতেও ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এর বাইরেও নুন আছে। যেমন অনেক বাড়িতে সন্ধক লবণ এবং বিটনুন খাওয়া হয়। এগুলো গোলাপি লবণ বা নুন হিসাবেও পরিচিত। কিন্তু যেটা খুব কম মানুষই জানেন, সেটা হলো নীল লবণ। অনেকে হয়তো অবাকও হতে পারেন যে নুনের রং নীল হয় শুনে।
নীল রঙের লবণ খেলে শরীরে বিশেষ কিছু সদর্থক প্রভাব ফেলে বলে এর চাহিদা বিশ্বজুড়ে। নামকরা রাঁধুনিদের নীল লবণ মানে শুধুই লবণ নয়, তাঁদের কাছে এটা আভিজাত্যের অপর এক নাম এবং সমাজের এক শ্রেণীর মানুষের কাছেও তাই।
কিন্তু এই নীল লবণ কোথায় পাওয়া যায় এবং এই লবণের বিশেষত্ব কি তা অনেকেই জানেন না। এই নীল লবণ ভারতে পাওয়া যায় না। তবে এশিয়ারই একটি দেশে পাওয়া যায়। তা হল ইরান। নীল লবণের পোশাকি নাম পারসিয়ান সল্ট। প্রায় ২ হাজার বছর আগে ইরানে এই লবণ আবিষ্কার হয়। একইসঙ্গে শুরু হয় তার ব্যবহারও। তারপর থেকে এই লবণ খনি থেকে তোলা চলছে। খনিতে জমাট বাঁধা এই লবণ তুলে এনে রোদে শুকিয়ে নিয়ে তারপরে এই নীল লবণ তৈরি হয়। এই লবণ নীল রঙের দেখতে হয়, তার কারণ এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। এটি আদতে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়ামের খনিই বলা যায়। এ লবণ দেখতেও খুব সুন্দর। ফলে তা খাবার টেবিলে আলাদা একটা মাত্রা যোগ করে। সঙ্গে এর খাদ্যগুণও অনেক।
এটি খেতে অবশ্য সাধারণ লবণের মত নয়, একটু অন্যরকম। খেলে খনিজের স্বাদ স্পষ্ট। তবে খেতে ভালো বলেই মত সকলের। জিভে গেলে একটা তাজা অনুভূতি দেয় এই লবণ।