ডার্বির নির্ঘণ্ট নিয়ে ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়, খেলা হবে ১০ মার্চেই

 

শুভাশিস বিশ্বাস

 

জনগর্জন আর ইস্ট-মোহনের ডার্বি একইদিনে, ১০ মার্চ।খেলা এবং তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে এক অঘোষিত লড়াই চলছিলই ক্রীড়াপ্রেমী আর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে।সিদ্ধান্ত নেওয়াও হয়েছিল ১০ তারিখ হবে না ডার্বি। এমনকি এমনও কানাঘুষো এও শোনা যেতে থাকে,  ভ্যেনু পরিবর্তন হতে পারে এই ডার্বি ম্যাচের।ফলে ইস্ট-মোহনের এই ফুটবল ম্যাচ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই চলছিল বেশ টানাপোড়েন। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে আক্রমণ সাজাতেও দেখা যাচ্ছিল বিরোধী শিবিরকে। তবে ছবিটা বদলায় সোমবার বেলা গড়াতেই। বিধাননগর কমিশনারেটের তরফ থেকে এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়, ১০ মার্চ রবিরারই হবে ডার্বি।তবে তা শুরু হবে রাত ৯টায়। বিধাননগর পুলিশের এই ঘোষণা সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলেন ফুটবল প্রেমীরা। কারণ, কলকাতার ই দুই প্রধানের ডার্বি ঘিরে এক অদ্ভুত উন্মাদনা রয়েছে ফুটবলপ্রেমীদের কাছে। এই ম্যাচ দেখতে শুধু যে কলকাতার মানুষেরাই যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ভিড জমাবেন তা নয়। জেলা থেকেও আসবেন বহু মানুষ। আর এখানেই উঠছে একের পর এক প্রশ্ন। ডার্বি ম্যাচ রবিবার। রাত ৯টায় খেলা শুরু হলে তা শেষ হতে কমপক্ষে রাত ১০টা ৪০ হবেই। আর এটা ক্রিকেট খেলা নয় যে খেলা শেষ হওয়ার কিছু ওভার বাকি থাকতে বেরিয়ে পড়লেও খুব একটা ক্ষতি হবে না।খেলার শেষ মিনিটেও অঘটন ঘটে যাওয়ার নামই ফুটবল। আর সেই কারণে রাত ১০টা ৪০-এর আগে কারও আসন ছাড়া সম্ভবও নয়, অন্তত যাঁরা ফুটবলপ্রেমী তাঁদের পক্ষে। এবার প্রশ্ন হল, রাত ১০টা ৪০ মিনিটে কোন জেলার মানুষ কী ভাবে বাড়ি ফিরবেন তা নিয়েই।জনগর্জনের জন্য একেই বাস কম থাকবে রাস্তায় এটা বলাই বাহুল্য। সরকারের তরফ থেকে হয়তো বিশেষ ব্যবস্থা হবে বাসের। তারপর? যুব ভারতী থেকে শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছে ট্রেন পাওয়া এক কঠিন ব্যাপার।

এই প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রিশ্চিয়ানো অভি-২ স্পষ্ট প্রশ্ন তুললেন, ওইদিন গাড়ি পাওয়া নিয়ে।প্রসঙ্গক্রমে তুলে ধরেন জেলার মানুষদের বাড়ি ফেরার সমস্যার কথাও। একই প্রশ্ন করতে দেখা গেল সোরিত চট্টোপাধ্যায়কেও। রাত ৯টায় খেলা দেখে কজন ঠিক মতো বাড়ি ফিরতে পারবেন তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন সৌরিতও। এক পা আরও বাড়িয়ে সঞ্জীব লিয়েন্ডার দত্তের প্রশ্ন, খেলা দেখে শিয়ালদা স্টেশনে রাত কাটিয়ে পরদিন অফিস করতে হবে কি না তা নিয়েও।

তবে ডার্বি জ্বরে সত্যিই কাঁপছে কলকাতা। কারণ, এখনও প্রতি মুহূর্তে বদলে চলেছে সিদ্ধান্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠার পরই খেলা রাত ৯টায় শুরু হবে না রাত সাড়ে আটটায় শুরু হবে তা নিয়েও চলছে আলোচনা। এদিকে খবর মিলছে, পুলিশের তরফে সরকারি ভাবে চিঠি পাওয়ার পরই ডার্বির নির্ঘণ্ট ঘোষণা করবে এফএসডিএল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − nine =