আরজি কর কাণ্ডে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পাশাপাশি নানা অভিযোগে সামনে এসেছে আরও এক নাম। বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে রাজ্যের একাধিক কলেজে নাকি চলত ‘থ্রেট’ কালচার। পড়ুয়ারা কে কেমন নম্বর পাবে, কার ক্ষেত্রে টুকলি করার অনুমতি আছে, কে কার সঙ্গে মিশবে এসবই নাকি ঠিক করে দিতেন তিনি! এবার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনতে তৈরি হল বিশেষ তদন্ত কমিটি। কারও কোনও অভিযোগ থাকলে, ছবি বা উপযুক্ত প্রমাণ সহ একটি বিশেষ মেইল আইডি-তে মেইল করতে বলা হয়েছে। সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজের তরফ থেকে ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে একটি ই মেইল আইডি-ও প্রকাশ করা হয়েছে। [email protected]. ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযোগ জানানোর সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে অভিযোগ জানাতে হবে। প্রয়োজনীয় নথি মেইল করে দিতে হবে।
এই প্রসঙ্গে বলতেই হয়, চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়া সহ জুনিয়র ডাক্তারদের উপর ‘থ্রেট কালচার’ শুরু করেছিলেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি তাঁকে বদলি করা হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের অন্তর্গত কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেও তাঁর পোস্টিং ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়।
এর আগে বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সাগরদত্তের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে বহু ছাত্রছাত্রীই অভিযোগ জানাতেন। কে কোন ক্লাস করাবেন, কে করবে, কে হস্টেল পাবে কি পাবে না, সে সব কিছু ঠিক হত বিরূপাক্ষের সিদ্ধান্তেই, এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছিলেন অধ্য়ক্ষ।