কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে পুলিশ এবং অশোক স্তম্ভকে অপমানের অভিযোগ আনল তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, নির্বাচন কমিশনের কাছে সুকান্তকে শোকজ করার দাবিও জানানো হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন।
ঘটনার সূত্রপাৎ তালড্যাংড়ায়। সেখানে উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে আপত্তিজনক কথা বলার অভিযোগ ওঠে সুকান্তের বিরুদ্ধে। ৭ নভেম্বর সুকান্ত মজুমদার পুলিশকে বলেছিলেন, ব্যাচ থেকে অশোক স্তম্ভ সরিয়ে দিয়ে চটির সিম্বল লাগানোর জন্য। পুলিশের প্রতি সুকান্তর এই মন্তব্যে অশোক স্তম্ভের প্রতি অপমান দাবি করে কমিশনে যায় তৃণমূল। শনিবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে এই অভিযোগ জানান তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ পাঁচ নেতা–নেত্রী ৷ ওই দলে ছিলেন তৃণমূল সংসদীয় নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভায় দলের সংসদীয় নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, লোকসভা সাংসদ কীর্তি আজাদ, রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে এবং সুস্মিতা দেব৷ সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সুকান্ত মজুমদারকে শো–কজ করল কমিশন। সূত্রে খবর, সোমবার রাত আটটার মধ্যে সুকান্ত মজুমদারকে শোকজ চিঠির উত্তর দিতে হবে।পাশাপাশি, ডেরেক ও’ব্রায়েনের চিঠির কড়া উত্তর দিয়েছে কমিশন।
এই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে,তৃণমূলের তরফে ৮ তারিখ দেখা করার সময় চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে। যে চিঠিতে বিষয় উল্লেখ ছিল না। ৯ তারিখ সকালের রিমাইন্ডার লেটারেও বিষয়ের উল্লেখ করা ছিল না। এরপরই কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়, শনিবার তৃণমূলের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই রবিবার সিইও এবং এসপিএনওর সঙ্গে বৈঠক করে কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।