লোকসভা নির্বাচনের আগে পুলিশ আধিকারিকদের বদলি নিয়ে কড়া বার্তা দিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের পুরনো নিয়মই রয়েছে, প্রতিটি জেলাতে যে আধিকারিক টানা ৩ বছর ধরে রয়েছেন, তাদের ভোটের আগে বদলি করতে হবে, কখনওই তাঁদের পাশের কোনও জেলায় বা একই লোকসভার অভ্যন্তরে রাখা যাবে না।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এও জানানো হচ্ছে, নির্দেশের পরও বহু জায়গায় বদলি হয়নি। শুধু তাই নয়, নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই খেয়াল করেছে যে সমস্ত পুলিশ আধিকারিককে এক জায়গায় তিন বছর হয়ে গিয়েছে, তাঁদের নিয়ম অনুযায়ী অন্যত্র বদলির করা হলেও তা করা হয়েছে ঠিক পাশের জেলাতেই। আর এখানেই নির্বাচন কমিশনের ধারনা, এই সব পুলিশ আধিতকারিকদের এই বদলি আদতে লোক দেখানো। পাসের জেলায় বদলি করা হয়েছে যাতে তাঁরা নির্বাচের সময় নিজেদের প্রভাব খাটাতে পারে। সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, তাদের এও নজরে আসছে কোনও কোনও ক্ষেত্রে আধিকারিকদের অন্য জেলায় বদলি করলেও একই লোকসভায় রেখে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ তাদের পাশের জেলায় পাঠানো হলেও দেখা যাচ্ছে একই লোকসভার অন্তর্গত। এই বিষয়টি নিয়ে এবার কঠোর কমিশন। অথচ নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য ছিল, কোনও পুলিশ আধিকারিক যাতে কোনওভাবেই নির্বাচনকে প্রভাবিত না করতে পারে।
এদিকে শনিবার জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কড়া নির্দেশও দিতে দেখা যায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের। জানানো হয়, আইন-শৃঙ্খলায় নজর দিতে হবে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি যেন না হয় সেই দিকে আপনারা নজর রাখুন। সঙ্গে এও বলা হয়, ‘জামিন অযোগ্য যে ওয়ারেন্টগুলি আছে সেগুলি কার্যকরী করতে হবে। নাকা চেকিংয়ের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলির ম্যাপিং আরও নিখুঁতভাবে করুন।’ জেলাশাসক পুলিশ সুপারদের বৈঠকে নির্দেশ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের।
এদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের টিম বা ফুল বেঞ্চ রাজ্যগুলিতে যাচ্ছে এবং এই মুহূর্তে নির্বাচনের প্রস্ততি কোন পর্যায়ে আছে তা খতিয়ে দেখছে। আর পশ্চিমবঙ্গে ৩ মার্চ আসছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ। এরপরই সর্বদলীয় বৈঠক করবে তারা। একইসঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গেও বৈঠক করবে প্রাক নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ে।