লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর এবার একাধিক কেন্দ্রকে ‘ফিনান্সিয়াল সেনসিটিভ’ বা ‘অর্থনৈতিক স্পর্শকাতর’ বলে ঘোষণা করা হলো । এরই প্রেক্ষিতে লোকসভা ভোটে বাংলার ৬ আসনের উপর বাড়তি নজরদারি রাখার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ওই কেন্দ্রগুলিতে কেন্দ্র এবং রাজ্যের ২২টি তদন্তকারী সংস্থাকে নজরদারি চালাতে বলেছে কমিশন।
এই ৬টি কেন্দ্র হলো দার্জিলিং , মালদহ (উত্তর), মালদহ (দক্ষিণ), আসানসোল, বনগাঁ এবং কলকাতা উত্তর। ৪২টি কেন্দ্রের উপর নজর তো থাকবেই, তবে এই ৬টি কেন্দ্রের আয়-ব্যয়ের উপর বাড়তি নজর রাখবে কমিশন। এই কেন্দ্রগুলিতে বেআইনি আর্থিক লেনদেন হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে। মূলত গত নির্বাচনে এই কেন্দ্রগুলি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছিল, মদও বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। আগের যে তথ্য হাতে এসেছে নির্বাচন কমিশনের কাছে তার উপর ভিত্তি করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন হোক কিংবা ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন, বাংলায় মোটা অঙ্কের টাকা উদ্ধারের ঘটনা রয়েছে। তাই এবার নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে একটু বেশি তত্পর বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিকে চলতি নির্বাচনের জন্য বেনজিরভাবে বাংলায় সর্বোচ্চ ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এত আধাসেনা দেশের আর কোনও রাজ্যে এত কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন হচ্ছে না। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। বাংলায় প্রথম দফায় কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে ভোট হবে। কমিশন সূত্রে খবর, বাংলায় প্রথম দফার তিনটি আসনের নির্বাচনের জন্য প্রায় ২৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার পরিকল্পনা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তিন কেন্দ্রের জন্য এত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের খবর নিয়েও এখন আলোচনা তুঙ্গে।
ভোটের আগে ইতিমধ্যেই ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে এসেছে বাংলাতে। বিভিন্ন জেলায় রুট মার্চও শুরু হয়ে গেছে। ভোটের আগেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে আসার বিষয়টিও নজিরবিহীন বটে। একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা নিয়ে একটু বেশি সতর্ক নির্বাচন কমিশন।